রাজ্যে কি জারি হচ্ছে লক ডাউন? স্পষ্ট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়





রাজ্যে দিনের পর দিন বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। ফলে বাড়ছে উদ্বেগ। জল্পনা চলছিল লক ডাউনের। কিন্তু সেই জল্পনা উড়িয়ে এখনই রাজ্যে লকডাউন নয় আজ মালদহে সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, লকডাউনে প্রচুর আর্থিক ক্ষতি হয়েছে। মাস্ক ব্যবহারের ওপরও জোর দেওয়ার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা আক্রান্তকে নিয়ে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সবাই মাস্ক পরুন, সব বন্ধ করে লাভ নেই। গৃহবন্দির এখনই প্রয়োজন নেই। করোনার সংখ্যা খুব একটি বেশি নয়। মাস্ক রাজ্য সরকারই বিলি করেছে।



এদিন মালদায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আতঙ্কিত না হয়ে মানবিকতার হাত বাড়াতে হবে। এবারও করোনা-ঝড় সামলানো যাবে। বললেন, এবারও ঝড় সামলাব, সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। মৃদু উপসর্গ থাকলে সেফ হাউসে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনটি গ্রেড করার কথাও জানান তিনি। গুরুতরদের সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে। অসুস্থতদের সেফ হাউসে। কম অসুস্থদের বাড়িতে আইসোলেশনে। সেফ হাউস গুলিকে হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে ১১ হাজার বেড রয়েছে। আগামী দু’দিনে আরও ২ হাজার বেড যুক্ত হবে।




মুখ্যমন্ত্রী জানান, বর্তমানে রাজ্যে ৬৭৯৩ জন করোনা রোগী হাসপাতালে ভর্তি। হোম আইসোলেশন ৫১,৫৯৩ জন রয়েছেন। সরকারি হাসপাতালে ভর্তি ৩,৮৮৮ জন। বেসরকারিতে ভর্তি ২,৯০৫ জন। ৮০টি হাসপাতালে ৭ হাজারের বেশি অক্সিজেন বেড রয়েছে। ৭০টি কোভিড হাসপাতাল রয়েছে।



অক্সিজেনের অভাব নিয়ে বলেন, ‘অক্সিজেনের ঘাটতি রয়েছে। বাড়তি মজুতদারি রুখতে পদক্ষেপ করা হচ্ছে। কেউ মজুত করলে বা দাম বাড়ালে নজরদারি চালানো হবে। অক্সিজেন সিলিন্ডার নিয়ে চিঠি লিখেছেন বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভ্যাকসিন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইতিমধ্যেই ৯৩ লক্ষ ভ্যাকসিনের ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২.৫ পরিবারকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রের কাছে আরও এক কোটি ভ্যাকসিন চেয়েছে রাজ্য। বাজার থেকেও ভ্যাকসিন কেনার ভাবনা রয়েছে।' তবে এদিন ভ্যাকসিনের দাম বৃদ্ধি নিয়েও ক্ষোভ উগড়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘কেন্দ্র কিনবে ১৫০ টাকায়, রাজ্য কিনবে ৪০০ টাকায়?’



করোনা আক্রান্ত হলেও ভোট দেওয়ার আবেদন জানান মমতা। পাশাপাশি, কেউ ভোট দিতে চাইলে কমিশনের ব্যালটের ব্যবস্থার অনুমতি দেওয়া উচিত বলেও জানান মমতা। পাশাপাশি তিনি বলেন, এবার বাংলায় ঝড় বেশি কারণ অনেকেই রয়ে গেছে। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী, পর্যবেক্ষক ও বিজেপির প্রচুর লোক এখানে বসে আছে। করোনাবিধি মানার জন্য নতুন ধারা সংযোজন করতে বলেছি।দ্রুত সব কিছু যাতে শেষ হয়ে যায়। আট দফায় ভোট করেই সমস্যা বাড়ছে।