ভ‍্যাকসিন নিতে কি করতে হবে, জেনে নিন খুঁটিনাটি 




ইতিমধ‍্যে দেশজুড়ে করোনা ভ‍্যাকসিন প্রয়োগ শুরু হয়ে গেছে। প্রথম ধাপে চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ‍্যকর্মী থেকে পুলিশ সহ প্রথম শ্রেণির করোনা যোদ্ধাদের টিকাকরণ করা হয়েছে। আজ থেকেই শুরু হয়েছে বয়ষ্ক মানুষদের টীকাকরণ। এই পর্যায়ে ষাটোর্ধ্ব এবং ৪৫-৫৯ বছর পর্যন্ত কো-মর্বিডিটি থাকা মানুষদের সরকারি এবং বেসরকারি কেন্দ্র থেকে টিকা প্রদান করা হবে। আর টিকা নিতে করতে হবে রেজিস্ট্রেশন। 




টিকা নিতে কোউইন অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। 

আধার কার্ড ও অন্যান্য বিবরণ দিয়ে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।

সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে টিকা প্রদান করা হবে। 

বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে টিকার দাম ১৫০ টাকা ও পরিষেবার খরচ খাতে সর্বোচ্চ ১০০ টাকা নেওয়া যাবে।

কোমর্বিডিটির প্রমাণ হিসেবে নির্দিষ্ট ফর্ম্যাটে দিতে হবে চিকিত্‍সকের সার্টিফিকেট।

প্রতিদিন দুপুর তিনটে পর্যন্ত টিকাকরণ কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক প্রদান করা হবে। 

হাসপাতালে কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের মধ্যে যে কোনও একটি বেছে নেওয়া যাবে।

করোনাভাইরাস টিকার প্রথম ডোজ পাওয়ার পর ডিজিটাল কিউআর-নির্ভর একটি শংসাপত্র দেওয়া হবে। দ্বিতীয় তথা চূড়ান্ত ডোজের পরও দেওয়া হবে সার্টিফিকেট।



প্রথম ডোজ নেওয়ার ২৮দিন পর দ্বিতীয় ডোজ। 

কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য প্রকল্প এবং আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প মিলিয়ে ১৬,০০০-এক বেশি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে টিকা প্রদান করা হবে।

পশ্চিমবঙ্গে ১১টি বেসরকারি হাসপাতলে টিকাকরণ হবে। 




হার্ট ফেলিয়োর নিয়ে হাসপাতালে ভরতি, পোস্ট কার্ডিয়াক ট্রা্ন্সপ্ল্যান্ট বা লেফট ভেন্ট্রিকুলার অ্যাসিস্ট ডিভাইস, ডায়াবেটিস (১০ বছরের বেশি বা জটিলতা-সহ) এবং চিকিৎসা চলতে থাকা উচ্চ রক্তচাপ, ব্লাড ক্যানসার বা মায়েলোমা বা লিম্ফোমা, গুরুতর শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতা গত দু'বছরে হাসপাতালে ভরতি (FEV1<50%)-সহ ২০ টি কো-মর্বিডিটি থাকলে ৪৫-৫৯ বছরের মানুষরা টিকা নিতে পারবেন। তাঁদের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিয়ে টিকাকরণ কেন্দ্রে যেতে হবে।