মাননীয়া কাজ দিন নয়তো স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন পত্র মঞ্জুর করুন-  যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্মপ্রার্থী



মধুসূদন রায় , জলপাইগুড়িঃ 


শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক কর্ম প্রার্থী সমিতি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির শিক্ষিত বেকার যুবক - যুবতীরা স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য আবেদনপত্র তুলে দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক এক্সচেঞ্জ অফিসারের হাতে । 




সংগঠনের সদস্য সঞ্জয় দেবনাথ জানান , গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক কর্মপ্রার্থী সমিতি জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির ডাকে জলপাইগুড়ি ডিএম অফিসে ৮ দফা দাবিতে প্রদান করা হয় স্মারকলিপি । যার ফিডব্যাক মেলেনি আজও , ফলে এক প্রকার হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা । আশা নিয়ে চেয়ে রয়েছেন মাননীয়ার মুখের দিকে । কারণ গত ২০১৩ সালে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি যুবশ্রী প্রকল্প । সেই সময়ে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক কর্ম প্রার্থী সমিতির বেকার যুবক - যুবতীদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দেন । কিন্তু আজ ৭ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কাজের কাজ হয়নি কিছুই । তাই গত ১১ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গ যুবশ্রী এমপ্লয়মেন্ট ব্যাংক কর্ম প্রার্থী সমিতি জলপাইগুড়ি জেলার প্রায় শতাধিক যুবক-যুবতী একত্রিত হয়ে জলপাইগুড়ি ডিএম অফিসে প্রদান করেন একটি স্মারকলিপি ।




তাদের দাবি গুলি হলঃ

( ১ ) মুখ্য মন্ত্রীর বক্তব্য অনুসারে যুবশ্রী থেকে সমস্ত সরকারি দপ্তরে গ্রুপ-সি, গ্রুপ-ডি যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগের ব্যবস্থা অবিলম্বে করতে হবে ।

(২) বাজারমূল্য অনুযায়ী উৎসাহ ভাতা বৃদ্ধি করতে হবে।

(৩) ছয় মাস অন্তর 'Annexute-III' নামে রিনুয়াল বন্ধ করতে হবে ।

(৪) প্রয়োজনে স্পেশাল কমিশন গঠন করে সরকারি চাকরির নিয়োগের ক্ষেত্রে যুবশ্রী থেকে আসন সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে ।

(৫) যাদের নাম প্রথম থেকে যুবশ্রী প্রকল্পে নথিভূক্ত ছিল কিন্তু কোন চাকরি না দেওয়া সত্ত্বেও অনৈতিক ভাবে ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল, অবিলম্বে তাদের ভাতা প্রকল্পের আওতায় আনতে হবে ।

(৬) চাকরি না দেওয়া পর্যন্ত সকল যুবশ্রী দের ভাতা চালু রাখতে হবে ।

(৭) চল্লিশোর্ধ সকল যুবশ্রী দের অবিলম্বে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে।

(৮) লোকাল নিয়োগের ক্ষেত্রে যুবশ্রীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে ।




এবং সেদিনই জলপাইগুড়ি জেলা ডিএম তাদের বিষয়টি দেখবেন বলেও আশ্বাস দেন । এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মেলেনি ফিডব্যাক ।তাই আজ তারা স্বেচ্ছা মৃত্যুর জন্য আবেদনপত্র জমা দিলেন জলপাইগুড়ি জেলা এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক এক্সচেঞ্জ অফিসারের হাতে । তাদের মুখে শুধু একটাই কথা মাননীয়া কাজ দিন নয়তো স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন পত্র মঞ্জুর করুন ।