চাকরি দেওয়ার নামে ৮৩ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে




এবার কাঠগড়ায় ধুপগুড়ির বিধায়ক।একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বেই ফের অস্বস্তিতে শাসক দল। রাজ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে বহুবার টাকার বিনিময় সরকারি চাকরি প্রদান বিশেষত শিক্ষক নিয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি ফের একই অভিযোগ উঠলো ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়ক মিতালি রায়ের বিরুদ্ধে। 



অভিযোগ উঠেছে,চাকরি দেওয়ার প্রলোভনে মিতালী রায় অন্তত ১৩ জনের থেকে ৮৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে।তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে এই মারাত্মক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ধুপগুড়িতে এসএফআই এবং ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। অভিযুক্ত ওই তৃণমূল বিধায়কের কুশপুতুল দাহ করে বিক্ষোভ দেখান তারা। অন্যদিকে একই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন শহরজুড়ে বিজেপি সমর্থকরা তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে ধিক্কার মিছিল বের করেন।





মিতালী রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রাথমিক শিক্ষক ও জলসম্পদ বিভাগে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তৃণমূলের এক প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানও তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

যারা অভিযোগ করেছে তাদের দাবি, তাদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে বিকাশ ভবন এবং জলসম্পদ ভবনে ইন্টারভিউও নেওয়া হয়েছিল।এরপর কয়েক জনকে প্রাথমিক শিক্ষক পদের নিয়োগ পত্র দেওয়া হয়। সবটাই হয়েছিল টাকার বিনিময়ে। 


পরে অবশ্য সেই নিয়োগপত্র জাল বলে প্রমাণিত হয়।সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এবং টাকা ফেরত চেয়ে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে চড়াও হন অভিযোগকারীরা।

এই নিয়ে সরব হয়েছেন অশোক ভট্টাচার্য, তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিধায়ক মিতালি রায়ের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবীও জানিয়েছেন। 


সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, নিউজফিড থেকে সংকলিত ।