শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের তীব্র প্রতিবাদে প্রশিক্ষণ নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি রাজ্যের নির্বাচন বিভাগের 




আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ রাজ্যে ভোট কর্মীদের জন্য টানা প্রায় ছয়-সাত ঘণ্টা ট্রেনিং-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। কয়েকটি জেলায়(পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা) ট্রেনিং-এর মাঝে লাঞ্চের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অথচ অনেক জেলায় দীর্ঘসময়ের এই ট্রেনিংয়ে চা-বিস্কুট ছাড়া কোন কিছুর ব্যবস্থা নেই। একই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একই বিষয়ে ট্রেনিং-এর ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন ব্যবস্থা কেন? বরাদ্দ অর্থ যাচ্ছে কোথায়? কেন এই দ্বিচারিতা? তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন-তৈরি হচ্ছে অসন্তোষ। এই নিয়ে তীব্র প্রতিবাদে সামিল হয় রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চ। মঞ্চের প্রতিবাদে নড়েচড়ে বসে রাজ্যের নির্বাচন বিভাগ। জারি করে নতুন নির্দেশিকা।

শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিংকর অধিকারী জানান- "আমরা নির্বাচন কমিশনের এই অসঙ্গতি গুলির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব, অ্যাডিশনাল সিইও সঞ্জয় বসু, ডেপুটি সিইও বুলান ভট্টাচার্যের হোয়াটসঅ্যাপ এবং কমিশনের নিজস্ব মেলে প্রতিবাদ পত্র পাঠাই। একই সাথে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ট্রেনিং সেন্টার গুলিতে ভোট কর্মীদের প্রতিবাদ ও ডেপুটেশন চলে। সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এই অসঙ্গতির বিরুদ্ধে আমাদের তীব্র প্রতিবাদ সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ে। এই সম্মিলিত প্রতিবাদের ফলে নির্বাচন কমিশন বাধ্য হয়েছে শেষ পর্যন্ত আমাদের দাবি মানতে।"


২২/০২/২১ তারিখে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে নোটিফিকেশন জারি করে জানানো হয়েছে সব ভোট কর্মী ট্রেনিং-এর সময় ১৭০ টাকার লাঞ্চ পাবেন।