কাজ হারিয়েছে বাবা, কাশ্মীরের পথে অটো চালাচ্ছে ২১ বছর বয়সী মেয়ে বনজীত্
করনো মহামারী শুধু জীবন কেড়ে নেয়নি- কেড়ে নিয়েছে জীবিকাও। বেঁচে থাকা মানুষ জীবিকার অভাবে ধুঁকে ধুঁকে মরছে। একদিকে করোনার বিধি নিষেধ অন্যদিকে কাজ হারিয়ে বেকারত্ব জীবন- মানুষকে বাঁচার নতুন নতুন পথ খুঁজতে বাধ্য করেছে।
![]() |
পূজা দেবী |
বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে কাজ করবার প্রবণতা যেন বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এমনই একটি ঘটনা কয়েকদিন আগে নজর কেড়েছে নেট দুনিয়ায়। লকডাউনে স্বামী বেকার হয়ে পড়লে সংসারের হাল ধরেন স্ত্রী পূজা দেবী। জম্মু-কাশ্মীরের এই নারী বাসের স্টিয়ারিং হাতে নেমে গেছেন রাস্তায়।একসময় ট্যাক্সি চালিয়েছেন তিনি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে যাত্রীবাহী বাসের চালক হয়ে নজর কাড়েন গৃহবধূ পূজা। আর পূজার পরেই আরও এক ঘটনা সামনে এসেছে।
পরিবারের হাল ধরতে অটো চালানো শুরু করলেন জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উধমপুর জেলার ২১ বছর বয়সী তরুণী বনজীত্ কৌর।
করোনাকালে দীর্ঘ ৯ মাস ধরে বন্ধ স্কুল। তাই চাকরি হারিয়েছেন শিক্ষক, স্কুল কর্মী ছাড়াও আনুষঙ্গিক কর্মরত অনেকেই। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে বাস ড্রাইভারির চাকরিটা হারিয়েছেন বনজীত্-র বাবা। ফলে অর্থের অভাবে অচল হয়ে পড়েছে পরিবার। তাই আর অপেক্ষা না করে নিজেই সংসারের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন অটো চালক হিসেবে।
সংবাদসংস্থা এএনআই-র সঙ্গে কথা বলে বনজীত্ জানান, তাঁর স্বপ্ন সেনাবাহিনীতে চাকরি করার। তাই পড়াশোনা থামাননি। বাবার কাঁধের বোঝা হালকা করতেই অটো চালানোর পথ বেছে নেন। তিনি বলেন,'আমি স্নাতক দ্বিতীয় বছরের ছাত্রী এবং অর্থ উপার্জনের জন্য অটো-রিক্সা চালানোর কাজ করছি। মেয়েদের সমস্তরকম কাজের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত। ছেলে মেয়ের কাজ আলাদা বলে কিছু হয় না এই বার্তা পৌঁছে দিতে চান।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊