'বিজেপি চম্বলের সবচেয়ে বড় ডাকাত', 'হিন্দু নয়, কুৎসা ও হিংসার ধর্ম তৈরি করেছে বিজেপি": জলপাইগুড়ির জনসভায় মমতা 


গতকালকেই ৩ দিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ জলপাইগুড়িতে এবং কালকে কোচবিহারে সভা মুখ্যমন্ত্রী। জলপাইগুড়িতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিঁধলেন সিপিএম ও বিজেপি-কে। 


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ির উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, 'আলিপুরদুয়ারের ১০০% মানুষ সরকারি পরিষেবা পান। জলপাইগুড়ির ৯৫% মানুষ সরকারি পরিষেবা পান। এই দুই জেলাতেই এখন প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ, বেঙ্গল সাফারি তৈরি হয়েছে। হলদিবাড়ি থেকে মেখলিগঞ্জ সেতু তৈরি হয়েছে। যা ছিল করে দিয়েছি, আর কিছু বাকি নেই। এছাড়াও দুই জেলার উদ্বাস্তু কলোনি নিয়ে তিনি বলেন, আইনি স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এনআরসি ইস্যুকে টেনে তিনি আরও বলেন, ‘আর বিজেপির এনআরসির ধাক্কা খেতে হবে না।এনপিআর খায় না মাথায় দেয়! এনআরসি ও এনপিআরের তফাত কী? অসমে ১৯ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একমাত্র রাজ্য যে কাউকে বঞ্চনা করে না।’


শুধু বিজেপি নয় সিপিএমকে আক্রমণ করেন মমতা। এদিন মমতা বলেন, ‘আগে যারা সরকারে ছিল কোন কাজটা করেছে! ‘ভাষণ দিয়ে সব কাজ হয় না। আমাদের কাজে ভুল হলে সংশোধন করে নেব।' জলপাইগুড়ি শহরে এবিপিসি মাঠে জনসভায় বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিজেপি সবচেয়ে বড় ডাকাত। হিন্দু নয়, কুৎসা ও হিংসার ধর্ম তৈরি করেছে বিজেপি। মানুষে-মানুষে ভাগাভাগি করাই ওদের কাজ।' 



পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রের উন্নয়ন নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, দিল্লির সরকারের তো ৬ বছর হয়ে গেল! ওরা বলেছিল ৬০টি চা বাগান খুলে দেব, কটা খুলেছে! বিজেপির প্রতিশ্রুতি মানে তো প্রতারণা। বলেছিল বছরে ২ কোটি চাকরি দেবে, দিয়েছে? বাংলায় বলছে ফর্ম দেব, ভোটের পর হাওয়া! বলেছিল অ্যাকাউন্টে ১৫ লক্ষ টাকা দেব, পেয়েছেন?’ শুধু উল্টোপাল্টা কথা বলার জন্য আছে।’


পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও এদিন তিনি রাজবংশীদের উন্নয়নে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান। তিনি বলেন, কোচবিহারে পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস হচ্ছে। উত্তরবঙ্গের ৩৭০টি বাগানের চা শ্রমিককে পাকা বাড়ি। বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকদের ভাতা, বিনামূল্যে রেশন। মূলস্রোতে ফিরেছে কেএলও জঙ্গিরা।' পাশাপাশি তাঁর পরামর্শ যারা পরিষেবা পাননি, দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে যান। তিনি আরও বলেন, আমরা চাই সব মানুষই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পান। একদিনে সব কাজ সম্ভব নয়, বাকি থাকলে করে দেব। যে ক্ষমতায় থাকে সে চেষ্টা করে কাজ করার। যে ক্ষমতায় থাকে না তার কোনও দায়বদ্ধতা থাকে না।'