শিল্পপতিদের হাতে ব্যাঙ্ক! দেশের অর্থনীতির রাশ যেতে পারে তাঁদের হাতে, আশঙ্খা দুই শীর্ষ অর্থনীতিবিদের 


সম্প্রতি দেশের কিছু কর্পোরেট হাউসকে ব্যাঙ্ক খোলার অনুমতি দেওয়া যেতে পারে এমনই প্রস্তাব দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অভ্যন্তরীণ ওয়ার্কিং গ্রুপ। আর সেই প্রস্তাবের বিরোধিতা করলেন প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন, আরবিআইয়ের প্রাক্তন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য। পাশাপাশি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ও রাহুল গান্ধীও ওই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন। 


দেশের এই দুই শীর্ষ অর্থনীতিবিদ মনে করছে কর্পোরেটদের ব্যাঙ্ক চালানের অনুমতি দেওয়ার প্রস্তাব অত্যন্ত খারাপ চিন্তা-ভাবনা। নিবন্ধে তারা উল্লেখ করেছেন এর ফলে দেশের কিছু শিল্পপতির হাতে দেশের অর্থনীতির রাশ চলে যাবে। ইয়েস ব‍্যাঙ্ক ডোবার পরেও এরকম সিদ্ধান্ত, দাবি বিরল আচার্য ও রঘুরাম রাজনের। আরবিআইয়ের ওয়ার্কিং গ্রুপের অনেক প্রস্তাব খুবই মূল্যবান হলেও কর্পোরেটদের হাতে ব্যাঙ্ক ছেড়ে দেওয়া প্রস্তাব বাতিল করাই ভালো।


রাজন ও বিরলের বক্তব্য, এর ফলে যতখুশি ঋণ নিতে পারবে ব্যাঙ্কের মালিক কর্পোরেট সংস্থাগুলি। যাদের হাতে ব‍্যাঙ্ক তারাই যদি ধার নেয় তাহলে তা থামাবে কে! কিছু শিল্পপতির হাতে প্রচুর টাকা জমা হবে যা প্রশ্রয় দেওয়া ঠিক হবে না। 



অন্যদিকে, এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, এই প্রস্তাব অত্যন্ত বিপজ্জনক প্রস্তাব। অত্যান্ত কম পুঁজি নিয়েও বিপুল টাকা নিয়ন্ত্রণ করবে তাঁরা। ওই প্রস্তাব অনুযায়ী কাজ শুরু হলে দেশের কোন কোন শিল্পপতিদের লাভ হবে। দেশের অর্থনীতির একটা অংশই শিল্পপতিদের হাতে চলে যাবে।


কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও তীব্র বিরোধীতা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ক্রোনলজিটা বুঝুন, প্রথমে কিছু বড় কোম্পানির ঋণ মুকুব করা হল। তারপর বেশকিছু কোম্পানির ট্যাক্স ছাড় দেওয়া হল। এরপর সাধারণ মানুষের টাকা ওইসব শিল্প সংস্থার ব্যাঙ্কে জমা রাখা হবে।