অনশন মঞ্চে ভাইদের ফোঁটা দিলো বোনেরা-চোখের জলে ভিজলো অনশন মঞ্চ 



অনশন মঞ্চে ভাইদের ফোঁটা দিলো বোনরা৷এই দৃশ্য দেখা গেলো জলপাইগুড়ি কলেজ পাড়া পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির অনশন মঞ্চে। চাকরিতে স্থায়ী করন করার দাবিতে দীর্ঘ ৩৫দিন থেকে অনশন করছে জেলার মোট ১০৯ জন কলেজ ক্যাজুয়াল কর্মী। অনশনরত ভাইদের কপালে ফোঁটা দিতে গিয়ে চোখে জল এলো বোনেদের৷ 


চাকরিতে স্থায়ী করন করার দাবি সহ বেশকিছু দাবিতে দীর্ঘ ৩৫দিন থেকে জলপাইগুড়ি কলেজ পাড়া আনন্দ চন্দ্র কলেজের বিপরিতে রাজ্য শড়কের ধারে মঞ্চ করে অনশন করছে। ইতিমধ্যে ৫ জন অস্থায়ী কলেজ কর্মী অনশন করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। দীর্ঘ ৩৫দিন থেকে অনশন করলেও এখনো সরকারি ভাবে কোনো আশ্বাস পায়নি অনশনকারিরা। 

এই অনশন মঞ্চে তাদের চাকরিতে স্থায়ী করন করার দাবিতে অনশন করছে কারো ভাই আবার কারো দাদারা।ভাই ও দাদারা বাড়ি না ফিরলেও বোনেরা ভাইদের ফোঁটা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম নিয়ে হাজির অনশন মঞ্চে।সেখানেই ভাই ও দাদাদের কপালে ফোঁটা দিয়ে ভাইদের দীর্ঘায়ু কামনা করে বোনেরা।ভাইদের কপালে ফোঁটা দিলেও ভাইদের একটু মিষ্টি খাওয়াতে পারছেনা বোনেরা। কারন ভাইরা যে অনশন করছেন।ভাই ও দাদাদের অনশন মঞ্চে এতো দিন থেকে এই অবস্থায় দেখে উভয়ের চোখে জল চোলে আসে।

পুর্ণিমা রায় বলেন ভাইদের এই অবস্থায় দেখে খুব খারাপ লাগছে।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বোন পুর্ণিমা রায়ের আবেদন তাদের ভাই ও দাদাদের চাররির বিষটি একটু গুরুত্ব দিয়ে যেনো দেখা হয়৷ ভাইদের কপালে ফোঁটা দিলেও একটু মিষ্টি খাওয়াতে পারছিনা এটা আমার খুব খারাপ লাগছে। 

পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ক্যাজুয়াল এমপ্লয়িজ সমিতির জেলা সভাপতি উত্তম সোম বলেন ২০১৬সাল থেকে আমরা এই দাবিতে আন্দলোন করছি কিন্তু সরকার আমাদের বিষয়টি দেখেনি তাই বাধ্য হয়ে ১৩অক্টোবর থেকে আমরা অনশন করছি। আমদের দিদি ও বোনেরা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছুটে এসেছে আমাদের ভাই ফোঁটা দেওয়ার জন্য।আমরা অনশন মঞ্চের ভাইফোঁটা নিয়েছি।