বহুদিন ধরে বড়ামার সেতু মেরামত না হওয়ার জন্য নাজেহাল বহু গ্রামবাসি


নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রাম: রহিণী কিংবা বেলিয়াবেড়া যাওয়ার একমাত্র পথ এর ওপর বড়ামার সেতু বছর খানিক আগে সেতুর উপর দিয়ে ওভার লোড বালি গাড়ি যাতায়াত এর ফলে সেতুটি হঠাৎই বসে যায়। তারপর কেটে গেছে বছরের পর বছর কিন্তু আজো মেরামত হল না সেতু। আর তাতেই নাজেহাল এলাকাবাসী। ঝাড়গ্রাম জেলার গোপিবল্লবপুর 2 নং ব্লকের গোয়ালমারা সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে এই বড়ামার সেতু। 

সেতু বসে যাওয়ার পর যাতায়াতের জন্য একটি বিকল্প সেতু করা হয়। কিন্তু বারংবার সেই সেতু বন্যার জলে ভেসে যায় এমনটাই অভিযোগ করছেন এলাকার মানুষেরা। এলাকাবাসির অভিযোগ বেলিয়াবেড়া থানা ও ব্লক অফিসে যাওয়ার বা হাসপাতাল যাবার একমাত্র পথ এই বড়ামারা সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হতো এলাকার বাসিন্দাদের। সেতু বসে যাওয়ার পর প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি গ্রামের মানুষ চরম ভোগান্তিতে। রহিণী কিংবা বেলিয়াবেড়া থেকে বাসে মানুষ হাসপাতাল থেকে শুরু করে কোন কাজে যেতে পারছেন না জেলা শহর ঝাড়গ্রাম সহ বিভিন্ন এলাকায়। 

উল্লেখ্য সেতু বসে যাওয়ার আগে বেসরকারি বাস সহ চার টি সরকারি বাস যাতায়াত করতো এই সেতুর উপর দিয়ে। সেতু বসে যাওয়ার পর সেই বাসগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ঝাড়গ্রাম বাস ডিপো থেকে।এমনিতে লকডাউন এর পর থেকে কয়েকটি বেসরকারি বাস চলছে কিন্তু সেতু বসে যাওয়ার ফলে অনেক বাস বন্ধ আর তাতেই বাসের মালিকরা কিছুটা হলেও সমস্যা তে পড়ে গেছেন। বর্তমানে এখন বাস চলছে অল্টারনেটিভ পদ্ধতিতে সেতুর ওদিকে কিছু বাস ও সেতুর একদিকে কিছু বাস এমন ভাবে।বেলিয়াবেড়া বা রহিণী বা ঝাড়গ্রাম থেকে গিয়ে সেতুর এপার বা ওপার পায়ে হেটে অন্য দিকে পেরিয়ে বাস চড়তে হচ্ছে তাতেই অসুবিধায় পড়ছেন রোগী থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। এমনকি এই বড়ামারা সেতু মেরামতের দাবিতে গোয়ালমারা বাসস্ট্যান্ডে কয়েকমাস আগে অবরোধ করে এলাকাবাসী কিন্তু তারপরেও স্থানীয় প্রশাসনের কোনো হুঁশ ফেরেনি।

কিছুদিন আগে ওই সেতুর উপরে বড়ামারা সেতুর বিকল্প সেতু করার জন্য রাখা হয়েছিল সেতু তৈরির সরঞ্জাম। রোহিণী কিংবা বেলিয়াবেড়া যাওয়ার একমাত্র পথ এর ওপর বড়ামারা সেতু বছর খানিক আগে সেতুর উপর দিয়ে বাড়ি বালি গাড়ি যাতায়াত এর ফলে সেতুটি হঠাৎই বসে যায়। তারপর কেটে যায় বছরের পর বছর কিন্তু আজ পর্যন্ত মেরামত হল না বড়ামারা সেতু। আর তাতেই নাজেহাল এলাকাবাসী।