চাপের মুখে অবশেষে হাথরস কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যোগী আদিত্যনাথের 




চাপের মুখে অবশেষে হাথরস কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ যোগী সরকারের। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ ও মৃত্যুর ঘটনায় উত্তাল সারা দেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রি ঘটনার তীব্র নিন্দা চলছেই। পাশাপাশি, বিরোধী দল সহ দেশের জনগণ এখন অভিযুক্তের শাস্তির দাবিতে সরব হয়েছে। 



হাথরসের ঘটনার পর কংগ্রেস নেতাদের নির্যাতিতার গ্রামে যেতে প্রথমে বাধা দেওয়া হয় কংগ্রেস নেতা- নেত্রীদের। পুলিশের ধাক্কায় মাটিতে পড়ে যান রাহুল গান্ধী। এরপর, একই ঘটনা ঘটে তৃণমূল প্রতিনিধিদের সাথেও। পাশাপাশি, সংবাদ মাধ্যমকেও নির্যাতিতার গ্রামে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। এরপরেই উত্তর প্রদেশ পুলিশ প্রশাসন নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। একে একে নির্যাতিতার বাড়ি থেকে নানান অভিযোগ আসতে শুরু করে। অবশেষে, রাহুল- প্রিয়াঙ্কা সহ পাঁচ কংগ্রেস নেতাকে নির্যাতিতার বাড়িতে যাওয়ার অনুমতি মেলে। শুক্রবার ফের হাথরসে যান কংগ্রেস নেতারা। কংগ্রেস প্রতিনিধিরা প্রায় ২৫ মিনিট ধরে কথা বললেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে। নির্যাতিতার মাকে জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা প্রিয়ঙ্কার। বললেন, মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ উত্তরপ্রদেশ সরকার। নিরাপত্তা দেওয়ার পরিবর্তে ভয় দেখাচ্ছে যোগীর পুলিশ। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে। 



নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাহুল। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে, বললেন রাহুল। যেভাবে নির্যাতিতাকে দাহ করা হয়েছে তা নিয়ে রাহুল-প্রিয়ঙ্কার কাছেও তীব্র ক্ষোভপ্রকাশ করে পরিবার। পাশাপাশি, বিচার চাই বলেও জানান পরিবার। ডিএমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কাঁতর আবেদন করে পরিবার। এদিকে পাশে থাকার আশ্বাস দেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা।



জল গড়িয়েছে অনেকদূর। উত্তরপ্রদেশ থেকে ছড়িয়ে গেছে সারা দেশ। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবিতে রব উঠেছে বাংলাসহ সারা দেশেই। চাপের মুখে অবশেষে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। এদিন, উত্তরপ্রদেশ সরকারের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কথা জানানো হয়।