সারা বিশ্বে প্রায় তিন কোটি মহিলা ও অল্পবয়সিরা আজও দাসপ্রথার শিকার বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট



সারা বিশ্বে প্রায় তিন কোটি মহিলা ও অল্পবয়সিরা আজও দাসপ্রথার শিকার বলছে রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট 




বিশ্বে একসময় প্রচলিত ছিল দাসত্ব। যা ধীরে ধীরে একেক সময়ে একেক দেশ থেকে অবলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু আদৌ কি দাসত্ব অবলুপ্ত হয়েছে? রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বে এখনো বিরাজ করছে দাসত্ব। তবে পালটে গেছে শুধু ধরন। ঋনের বোঝা বা পারিবারিক দাসত্বের শিকার হয়েছে মানুষ। রাষ্ট্রপুঞ্জের রিপোর্ট বলছে সারা বিশ্বে প্রায় তিন কোটির কাছাকাছি মহিলা ও অল্পবয়সিরা আজও দাসপ্রথার শিকার।



বহু দেশে অল্পবয়সি মেয়েরা বৈষম্য ও নির্যাতনের শিকার। বিশ্বে প্রতি ১৩০ মহিলা/মেয়ের মধ্যে একজনকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়। বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করা হয়, পারিবারিক দাসত্বের শিকার হতে হয়।



মানব সভ্যতার ইতিহাসে অন্য সময়ের চেয়ে এখন অনেক বেশি মানুষ দাসত্ব করেন বলেই মনে করেন ওয়াক ফ্রি অ্যান্টি স্লেভারি অর্গানাইজেশনের প্রতিষ্ঠাতা গ্রেস ফরেস্ট। আধুনিক দাসত্বের সংজ্ঞা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফরেস্ট জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত ভাবে বা আর্থিক ভাবে সংগঠিত উপায়ে একজন মানুষের স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হচ্ছে আজকের দাসত্ব।



রিপোর্ট বলছে, মহিলাদের যৌন নির্যাতনের শিকার ৯৯ শতাংশ, জোর বিয়ে ৮৪ শতাংশ, শ্রমিকের কাজে বাধ‍্য করা ৫৮ শতাংশ। করোনাকালে এই পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করেছে। 


বিশ্বের এই ক্রমবর্ধমান সমস্যা সম্পর্কে সচেতন করতে দুনিয়া জোড়া একটি প্রচারের কর্মসূচি নিয়েছে, ওয়াক ফ্রি, রাষ্ট্রপুঞ্জের এভ্রি উওম্যান এভ্রি চাইল্ড প্রোগ্রাম।


ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশন, ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন এবং ওয়াক ফ্রি সংস্থার করা যৌথ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ