সম্মান কার্ডের সূচনা করলেন আই.জি. বি. এল. মিনা


সঞ্জিত কুড়ি, পূর্ব বর্ধমান


পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে সূচনা হলো সম্মান কার্ডের। এ সম্মান কার্ডের মাধ্যমে বিশেষ সুযোগ-সুবিধা পাবেন শহরের প্রবীন নাগরিকরা।বর্তমানে শহরের ৩৫টি ওয়ার্ডের ৫০ জন ব্যাক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পরবর্তীতে তা বাড়ানো হবে। ফিতে কেটে সম্মান কার্ডের উদ্বোধন করেন আই জি, বি এল মিনা এবং পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। 



পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার মধ্যে এই বর্ধমান শহরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের যাবতীয় অনুপ্রেরণা সমস্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।প্রবীন নাগরিকদের জন্য ফোরাম তৈরির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন।৩৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে প্রবীণ নাগরিক অথবা যদি কোন ৬০ঊর্ধ্ব পুরুষ বা মহিলা একা বাড়িতে থাকেন তাদের কে এই আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া যদি কোন বৃদ্ধ-বৃদ্ধা দাম্পতি কোন আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে থাকেন সে সমস্থ দম্পতিদের এই আওতায় আনা হয়নি ।আওতায় আসা এই ৫০ জন ব্যক্তিকে একটি সম্মান কার্ড প্রদান হবে। সম্মান কার্ডে থাকবে তার নাম, ঠিকানা, ছবি এবং পুলিশের একটি ডেডিকেটেড মোবাইল নাম্বার।বয়স্ক মা-বাবারা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন না সেই কারণেই মোবাইল নাম্বারটি ব্যবহার করা হচ্ছে। বৃদ্ধ দম্পতিদের সুযোগ সুবিধার জন্যই মোবাইল নাম্বার ব্যবহার করা হয়েছে। 



এই সম্মান কার্ডে থাকছে মেডিকেল ইমার্জেন্সি, শরীর খারাপের জন্য ঔষধ কিনতে হবে, কোন কিছু টেস্ট করাতে হবে বা যেকোন মেডিকেল সমস্যা এবং লয়েন অর্ডারের সমস্যা দেখাদিলে যেমন বাড়ির সামনে কোন মদ্যপ ব্যক্তি অশান্তি করছে বা বাড়িরতে ইট মারলো। এছাড়া কোন প্রোমোটার তাদেরকে হুমকি দিচ্ছে বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে, এই ধরনের যে কোনো আইনগত সমস্যার জন্য বা তাদের চিকিৎসা সংক্রান্ত সমস্যা দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে স্টেপ নেওয়া হবে। এছাড়া থাকেছে পুলিশের পক্ষ থেকে ডেডিকেটড টিম ।এই টিমটি ফোনের মাধ্যমে তাদের সুযোগ-সুবিধা কথা সম্পর্কে জানবে ।এছাড়া মাসে কোন একদিন টিমের যে কোন একজন সদস্য তাদের সরাসরি যোগাযোগ করে তাদের সুযোগ-সুবিধা কথা জানবে। এছাড়া সম্মান কার্ডের মধ্যে থাকছে যে কোন অনুষ্ঠান যেমন দুর্গাপূজা পহেলা বৈশাখ ইত্যাদি এই ধরনের যেকোনো বড় অনুষ্ঠানের দিন তাদেরকে নিয়ে উদযাপন করা।এবং তাদের জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো হবে বলে জানান পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায়। 



আই জি বি এল মিনা বলেন,যারা বাড়িতে একা থাকেন যাদের ছেলেমেয়েরা চাকরির জন্য বাইরে গেছেন সেই সমস্ত ব্যক্তিদের সাহাযতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশে এবং বিধান নগর থানায় পুলিশও এই কাজ করে থাকেন। এটা যখন আমরা চালু করেছি তা যেন নিয়মিত বজায় থাকে সে বিষয়ে এসপি সাহেবের নজর দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন। এটাকে নিয়মিত রাখার জন্য জানান আইজি। আইজি বলেন এমন যেন না হয় যে এখন আমরা ঢাকঢোল পিটিয়ে এটা সূচনা করলাম পরে যেন তাদের চাহিদা মতো ফোন করলেও আমরা কোন সাড়া দেব না। এইরকম যেনো নাহয়। কার্ড প্রাপকদের যে কোন সময় সমস্যা হতে পারে যে কোনো সময় ফোন করতে পারে, সে সময়ই তাদেরকে সুযোগ-সুবিধা দিতে হবে ।এছাড়া নিয়মিত মেডিকেল টেস্টের বিষয়ও পুলিশ সুপারকে বলেন আইজি।