করোনা,উদবাস্তু, রাস্তা সংস্কার সহ উত্তরবঙ্গের প্রথম দিনের প্রশাসনিক বৈঠকে কর্তাদের একাধিক নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
করোনা আবহে দীর্ঘ আট মাস পর দুর্গাপূজার প্রাক্কালে উত্তরবঙ্গ সফরে গতকালই উত্তরকন্যায় পৌঁছেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে পৌঁছানোর পর আজ প্রথম দিনের প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রথম দিন জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলার প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী।
-
এদিনের এই প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে সমস্ত কাজ আটকে আছে সেই সমস্ত কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কামতাপুরি ও রাজবংসী ভাষা আগামিদিনের বিদ্যালয় পাঠ্যক্রমে যুক্ত করার জন্য প্রস্তুতি চলছে বলেন জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যযন্ত্রী উদবাস্তুদের এক বড় ঘোষনা করলেন। উদ্বাস্তুদের সুবিধার্থে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেলফ্ ডিক্লারেশন সার্টিফিকেটেই সরকারি কাজ হবে। উদ্বাস্তুদের জন্যও এই সার্টিফিকেটই যথেষ্ট। অন্য কোনও সার্টিফিকেটের প্রয়োজন হবে না।
জনসাধারনের সমস্যার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনিক কাজ করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সাধারন মানুষের একশো শতাংশ সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি সার্টিফিকেট পেতে যেন অসুবিধা না হয় সেই দিকটাও নজর রাখার নির্দেশ দেন তিনি। তিনি বলেন, ‘জাত শংসাপত্র পেতে যেন কোনও সমস্যা না হয়। সময় নষ্ট না করে কাজ করতে হবে।' পাশাপাশি দ্রুত গ্রাম বাংলার রাস্তা সংস্কারের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।
হুশিয়ারি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানান কারো গাফিলাতি মেনে নেওয়া হবে না। জোর করে কাজ আটকানো, পেনশনের টাকা আটকানো বরদাস্ত করা হবে না। তিনি বলেন, ‘কাজে কোনওরকম গাফিলতি বরদাস্ত করা হবে না। জোর করে কাজ আটকানো যাবে না। কারুর পেনশন আটকানো যাবে না।’
পাশাপাশি বাংলায় সহায়ক কেন্দ্র খোলা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সেখানে নিজেদের সমস্যার কথা জানাতে বলেন তিনি। সম্প্রতি রেশন নিয়ে যে দুর্নীতি সামনে এসেছে সে প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলার সহায়ক কেন্দ্র নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। রেশন নিয়ে অভিযোগের সমাধান করতে হবে।’
সামনেই দুর্গাপুজা সকলকে সতর্কতভাবে চলতে হবে। দুর্গাপুজা আয়োজন নিয়েও তিনি রাজ্যের গাইডলাইন অনুযায়ী চলার পরামর্শ দেন।
পাশাপাশি করোনা সংকটে কারো মৃদু উপসর্গ দেখা দিলে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেন তিনি। চিকিৎসাকর্মীদেরও সাবধানে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড যোদ্ধাদের জন্য আমি গর্বিত। ‘তাঁদের জন্যই উত্তরবঙ্গে কোভিড নিয়ন্ত্রণে আছে।’ পাশাপাশি তিনি নির্দেশ দেন, ‘করোনা টেস্টের রিপোর্ট যাতে দ্রুত আসে তার ব্যবস্থা করতে হবে।'
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊