picture credit:dawn



১৫সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার থেকে পাকিস্তানে খুলেছে স্কুল-মাদ্রাসা।এ ব্যাপারে আগে ঘোষণা করেছিল পাকিস্তানের প্রশাসন। ১৪ সেপ্টেম্বর সকালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইট করে বলেন, -“কাল থেকে দেশের দেশের লক্ষ লক্ষ ছেলেমেয়ে স্কুলে যাবে। প্রতিটি ছেলেমেয়ে যাতে নিরাপদে স্কুলে যেতে পারে তা নিশ্চিত করা আমাদের অগ্রাধিকার ও সমষ্টিগত দায়িত্ব।” আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে ভাইরাল গোলাপী আকাশ 



ইমরান আরও জানিয়েছিলেন, স্কুলগুলি যাতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে তাও নিশ্চিত করা হয়েছে। পাকিস্তানে এখনও পর্যন্ত ৩ লক্ষ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজারের বেশি। ভারতের তুলনায় অনেক ছোট দেশ, ফলে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা কম হবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তা সত্ত্বেও ঝুঁকি যে নেই তা বলা যাবে না। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির মধ্যে পাকিস্তানই সবার আগে এই পদক্ষেপ করল।


তবে করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই তিনদিন হলো কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে পাকিস্তান। আর এই তিন দিনের মধ্যে ৩৪ জন শিক্ষার্থী প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশে। খবর পাকিস্তানের দৈনিক ডন পত্রিকার


ডনের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক স্বাস্থ্য বিভাগের এক মুখপাত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দু’জন কর্মচারীও করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন।


তিনি আরো জানান, ইতোমধ্যে করোনা সংক্রমণ কমাতে ১৬ হাজারের মতো শিক্ষার্থীর রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে ডনের প্রতিবেদনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই প্রদেশে ১০১ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।




এ মাস থেকে আংশিক ভাবে স্কুল খোলার কথা এ দেশেও। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক আগেই রাজ্যগুলিকে জানিয়েছে যে, ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আংশিক ভাবে স্কুল খোলা যেতে পারে। তবে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য কেবল স্কুল খোলা যাবে। তাও ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া বাধ্যতামূলক নয়। ঐচ্ছিক। বাবা-মা তথা অভিভাবকের অনুমতি পত্র নিয়ে স্কুলে যেতে হবে। তা ছাড়া যে কোনও মুহূর্তে ৫০ শতাংশের বেশি শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী যেন স্কুলে না থাকে।




কোভিডের কারণে গোটা বিশ্বের ৯০ শতাংশ ছাত্রছাত্রী এখন স্কুলে যেতে পারছে না। কিন্তু গোড়া থেকেই প্রশ্ন ছিল, কতদিন এ ভাবে চলবে? এই পরিস্থিতিতে ইউরোপ তথা স্ক্যানডিনেভিয়ান দেশগুলির মধ্যে প্রথম সাহস দেখায় ডেনমার্ক। কঠোর স্বাস্থ্য বিধি প্রনয়ণ করে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়। ২ থেকে ১২ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের জন্য এপ্রিলের ১৫ তারিখ থেকেই স্কুল খুলে দেয়।


একই ভাবে সাহসী পদক্ষেপ করেছিল সুইডেনও। তাদের বক্তব্য ছিল, শিশুদের করোনা থেকে ঝুঁকি কম। তাই হাই স্কুল এবং উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখলেও প্রাথমিক স্কুলগুলি খুলে দিয়েছিল তারা। ক্রমশ, ইজরায়েল, জাপান, ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ডের মতো দেশেও স্কুল খুলেছে।


করোনার জেরে দীর্ঘদিন ধরে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়া সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম তিন দিনেই ৩৪ জন ছাত্র করোনা আক্রান্ত হওয়ায় কার্যত অস্বস্তিতে ইমরান সরকার।