22 bamboo clusters in 9 States; Logo for National Bamboo Mission also released

দেশ এবার বাঁশজাত সামগ্রী রপ্তানি বৃদ্ধিতেও উদ্যোগী- প্রকাশিত হলো বাঁশ মিশনের লোগো 




দেশ এবার বাঁশজাত সামগ্রী রপ্তানি বৃদ্ধিতেও উদ্যোগী হচ্ছে। আত্মনির্ভরতার  লক্ষ্যে  কেন্দ্রীয় কৃষি ও কৃষক কল্যাণ মন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র সিং তোমর গতকাল ভার্চ্যুয়াল পদ্ধতিতে ৯টি রাজ্যে ২২টি বাঁশ ক্লাস্টারের সূচনা করেছেন। এই রাজ্যগুলি হ’ল – গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, ওডিশা, আসাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, উত্তরাখন্ড এবং কর্ণাটক। এই উপলক্ষে শ্রী তোমর জাতীয় বাঁশ মিশনের লোগো বা প্রতীক প্রকাশ করেন। 


শ্রী তোমর বলেন, "স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় শিল্প সংস্থাগুলির সুরক্ষায় অগ্রাধিকার দিয়েছেন। স্থানীয় মানুষ ও শিল্পীরা যাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে উঠতে পারেন, সেজন্যই এই উদ্যোগ। বাঁশ মিশনের সংশ্লিষ্ট সবপক্ষের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই বাঁশ ক্ষেত্রের জন্য সরকারের যে লক্ষ্য রয়েছে তা পূর্ণ হবে। বাঁশের গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ১৯২৭ সালের ভারতীয় অরণ্য আইন, ২০১৭’তে সংশোধন করা হয়। এই সংশোধনের ফলে, বাঁশকে উদ্ভিদের প্রজাতি থেকে বাদ দেওয়া হয়। এর ফলে, যে কেউ বাঁশের চাষ এবং তার ব্যবসা করতে পারবেন। দেশে বাঁশ শিল্প ক্ষেত্রের সার্বিক অগ্রগতি সুনিশ্চিত করতে আমদানি নীতি সরল করা হয়েছে।" 

তিনি আরও বলেন, "ভারতে বাঁশের ব্যবহার এক সুপ্রাচীন পরম্পরা। বর্তমানে এই পরম্পরার সঙ্গে আধুনিক প্রযুক্তির মেলবন্ধন ঘটানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে, বাঁশ শিল্পকে কর্মোপযোগী করে তোলার জন্য যুবাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।"


প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর কৃষির মাধ্যমে আত্মনির্ভর ভারত গঠনের যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাতে অবদান রাখার জন্য শ্রী তোমর বাঁশ মিশনের সঙ্গে যুক্ত রাজ্যগুলির প্রতি আহ্বান জানান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, স্থানীয় বাঁশ শিল্পের প্রসার ঘটলে বাঁশ চাষীদের উপার্জন বাড়বে। সেই সঙ্গে, কিছু কাঁচামালের আমদানির ওপর নির্ভরশীলতাও হ্রাস পাবে। ভারতে বাঁশ সম্পদের প্রাচুর্য এবং বাঁশ শিল্প ক্ষেত্রের ক্রমশ অগ্রগতি শীঘ্রই ভারতকে বিশ্ব বাজারে তার প্রাপ্য স্থান পেতে সাহায্য করবে।