এবার থেকে চাকরীর পরীক্ষার ক্ষেত্রে নেওয়া হবে common eligibility test


করোনার কারনে শুধু  অর্থনৈতিক অবস্থাই মুখ থুবরে পড়েনি দেশে হুহু করে বাড়ছে বেকারের সংখ্যা। এমনো কিছু সমীক্ষা সামনে এসেছে যা দেখে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার উপায়। তাই সবদিক খতিয়ে অভিন্ন প্রবেশিকা পরীক্ষা বা কমন এন্ট্রান্স টেস্ট নেওয়ার জন্য নতুন একটি সরকারি সংস্থা গঠনে ছাড়পত্র দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (National Recruitment Agency)। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী প্রকাশ জাভাদেকার আজ এই কথা ঘোষণা করেন।  


এবার চাকরীর পরীক্ষার জন্য তৈরি করা হবে ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি। আজ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। 

জানাগেছ সংস্থাটি নন-গেজেটেড পদে নিয়োগের জন্য সাধারণ যোগ্যতা পরীক্ষা করবে। ২০২০ সালের বাজেটের প্রথমে সরকার এই সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করেছিল। বাজেটে সরকার জানিয়েছিলো, ন্যাশনাল রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি একটি স্বতন্ত্র, পেশাদার, বিশেষজ্ঞ সংস্থা হবে এবং সরকারি কর্মী নিযোগের জন্য একটি পরীক্ষা নেবে, সেখানে হবে একটি কমন এন্ট্রান্স টেস্ট। 

২৫ জুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেছিলেন যে এই এজেন্সি প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে নিয়োগ পরীক্ষা ইউপিএসসি এবং এসএসসির মতো সংস্থা পরিচালনা করে। একক নিয়োগ সংস্থা গঠনের প্রস্তাব করার সময় লোকসভায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন বলেছিলেন, "এটি যুবকদের সময় এবং ব্যায় কমাবে।" কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, "এই সিদ্ধান্তে দেশের যুবকদের চাকরির ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।"

রেল নিয়োগ বোর্ড(আরআরবি), স্ট্রাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি) বা ব্যাঙ্কিং পরীক্ষায় (আইবিপিএস)- এ চাকরি করার জন্য আর আলাদা ফি দিয়ে আলাদা পরীক্ষায় বসতে হবে না প্রার্থীদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সব পরীক্ষাকে এক ছাতার তলায় আনার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

কমন এন্ট্রান্স টেস্ট (সিইটি) -র মাধ্যমে ২০২১ সাল থেকেই পরীক্ষা শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে মোদি সরকারের বলেই সূত্রের খবর। বৈঠকে ন্যাশনাল রিক্র্যুটমেন্ট এজেন্সি (এনআরএ) গঠনে অনুমোদন দিল মন্ত্রিসভা।


জানা গেছে, বছরে আপাতত একবার এই পরীক্ষা নেওয়া হবে পরে প্রয়োজনে পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে। থাকবে একটা কমন সিলেবাস, প্রতিটি জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র ।