সুজাতা ঘোষ , বাগডোগরা :
প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যা তিথিতে গাজোলে বিবেকানন্দ ক্লাবের পরিচালনায় তারা কালী মায়ের মন্দিরে বিশাল পুজোর আয়োজন করা হয়। হাজার হাজার মানুষের ভিড় দেখতে পাওয়া যায় এদিন। কিন্তু এবছরের চিত্র একটু আলাদা । করোনার আবহের জেরে খুব বেশি ভক্তসমাগম যাতে না হয় মন্দির কর্তৃপক্ষ সেই দিকে নজর দিয়ে এবছরও নিশি পুজোর আয়োজন করলেন।
শাস্ত্রমতে ভাদ্র মাসের শুরুতেই যে অমাবস্যা সেই অমাবস্যা কৌশিকী অমাবস্যা নামে পরিচিত।
পুরাণ অনুযায়ী, কথিত রয়েছে, অসুর শুম্ভ ও নিশুম্ভ একবার কঠিন সাধনায় ব্রহ্মাকে তুষ্ঠ করে। এমন সময় তুষ্ট হয়ে ব্রহ্মা তাদের বর দেন যে, তাদের কোনও পুরুষ হত্যা করতে পারবে না। তাদের মৃত্যু হতে পারে সেই নারীর হাতে যিনি মাতৃগর্ভ থেকে জাত নন। এমন দেববাণী শুনে শুম্ভ নিশুম্ভ মহানন্দে অত্যাচারের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এরপর দেবগন ভয়ে বিচলিত হয়ে ওঠে। অসুর বিনাশের কথা যখন চিন্তা করা হচ্ছে, তখন সামনে এল পার্বতীর কথা। যিনি দক্ষ যজ্ঞস্থনে আত্মাহুতি দেওয়ার ফলে কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করেন। এই কৃষ্ণবর্ণ দেবী কঠিন যজ্ঞের পর কালিকা রূপে অবতীর্ণ হলেন। তাঁর দেহের কোশিকা কালো বর্ণ হওয়ায় নাম হয় কৌশিকী। আর এই তিথিতে তিনি মহাশক্তির অধিকারীনী হয়ে কৌশিকী রূপে বধ করেন শুম্ভ ও নিশুম্ভকে। সেই দিন থেকে প্রতিবছর কৌশিকী অমাবস্যায় অশুভ শক্তির হাত থেকে বাঁচতে ভক্তেরা তারা মায়ের পুজো করে থাকেন।
জানা গেছে, ২০১০ সালে 'গাজোল তারা কালী মন্দিরে'র প্রতিষ্ঠা হলেও বিবেকানন্দ ক্লাবের পরিচালনায় তারা মায়ের পুজো গত ৩৩ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ।
0 মন্তব্যসমূহ
Thank you so much for your kindness and support. Your generosity means the world to me. 😊