প্রতিরক্ষা সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি নয়, তৈরি হবে দেশেই, জানালেন রাজনাথ

  

প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত ১০১টি সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং রবিবার কয়েক ধাপে টুইট করে এই কথা জানিয়েছেন, এবার থেকে দেশেই তৈরি হবে ওই সমস্ত সামগ্রী। আত্মনির্ভর ভারত গড়ার যে ডাক প্রধানমন্ত্রী দিয়েছেন, তা বাস্তবায়িত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন রাজনাথ।

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছেন, ২০২০ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ধাপে ধাপে দেশীয় সংস্থাগুলির সঙ্গে চার লক্ষ কোটি টাকার চুক্তি বাস্তবায়িত হবে। একটি হিসেব অনুযায়ী তিনি বলেছেন, ২০১৫-র এপ্রিল থেকে ২০২০-র অগস্ট পর্যন্ত ২৬০টি প্রকল্পের মাধ্যমে কমবেশি সাড়ে তিন লক্ষ কোটি টাকার প্রতিরক্ষা সামগ্রী আমদানি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় দপ্তরের বক্তব্য অনুযায়ী, বাইরে থেকে যা আমদানি করা হয় তা যদি দেশেই তৈরি হতে পারে তাহলে দেশের আর্থিক বিকাশ ঘটবে, দেশের উন্নতি সাধন হবে। এটাই আত্মনির্ভর ভারতের মূল মন্ত্র। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, সেনাবাহিনী ও বায়ুসেনার জন্য ১.৩ লক্ষ কোটি টাকার সামগ্রী ও নৌ-সেনার জন্য ১.৪ লক্ষ কোটি টাকার সামগ্রী আনা হয়েছে ২০১৫-২০২০ পর্যন্ত।

কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন,  এই সিদ্ধান্ত ভারততীয় প্রতিরক্ষা শিল্পকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করাবে। তা ছাড়া- নতুন নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন হবে। যার পুরোটা তত্ত্বাবধান করবে DRDO

এর আগেই প্যারামিলিটারি ক্যান্টিনে বিদেশি জিনিস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্র। ভারতীয় সেনা ও আধাসেনার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। পরিবারের সদস্য মিলিয়ে মোটা উপভোক্তার সংখ্যাও মোটামুটি ৫০ লাখ। তাঁদের জন্য দেশে ১১৯টি প্রধান ক্যান্টিন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে ১,৬৩৫টি ভর্তুকিযুক্ত ক্যান্টিন। এই সব ক্যান্টিন থেকে সেনা ও আধাসেনার সদস্যরা সস্তায় পণ্য কিনতে পারেন। সেই সব ক্যান্টিনে ১ জুন থেকে শুধুই স্বদেশি সামগ্রী বিক্রি করার নির্দেশ দিয়েছিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, এই সব ক্যান্টিনে বছরে ২,৮০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়।