মসজিদ নির্মাণে নয়! তবে হাসপাতাল, গ্রন্থাগারের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে থাকতে হবে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে 

WEBDESK NEWS: 

যোগী ও হিন্দু হওয়ার দরুন অযোধ্যায় মসজিদের উদ্বোধনে যাবেন না এর আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ। তিনি এও বলেছিলেন যে, তাঁর বিশ্বাস তাঁকে অযোধ্যায় মসজিদের উদ্বোধনে ডাকা হবে না। কিন্তু, শনিবার মসজিদ তৈরির দায়িত্বে থাকা ইন্দো-ইসলামিক কালচার ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের তরফে জানানো হয় যে, মসজিদের জন্য দেওয়া জমিতে জনস্বার্থে যে সমস্ত প্রকল্প হবে তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। 


সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে আযোধ্যার পুরাতন বাবরি মসজিদ তথা বর্তমান রাম মন্দির এর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে অযোধ্যারি ধান্নিপুর নামে এক গ্রামে মসজিদ স্থাপণ করার জন্য পাঁচ একর জমি দেওয়া হয়। সেই স্থানেই নতুন করে বাবরি মসজিত তৈরি করতে বলা হয়। সেই মোতাবেক সেখানে মসজিদ তৈরির তোর জোড় শুরু হয়ে গিয়েছে বলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জানা যায়। এও জানা যায় সেখানকার ওই জমিতে শুধুমাত্র মসজিদ নয় তৈরি হবে ভিবিন্ন সমাজ সেবা মূলক প্রতিষ্ঠান, তার মধ্যে বিশেষ করে যেটা উল্লেখ যোগ্য তা হল হাসপাতাল ও গ্রন্থাগার। ট্রাস্ট জানিয়েছে, ইসলামে মসজিদ নির্মাণের জন্য আলাদা করে কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানের রীতি নেই। তবে, মসজিদের জমিতে হাসপাতাল, গ্রন্থাগার সহ জনস্বার্থে যেসব প্রকল্প হবে তার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। 


ইন্দো ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশনের সম্পাদক ও মুখপাত্র আথার হুসেন জানান, 'ট্রাস্ট অবশ্যই মুখ্যমন্ত্রীকে জনস্বার্থ বা সমাজ সেবা মূলক প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর অনুষ্ঠানে অবশ্যই আমন্ত্রণ জানানো হবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ও আশা করি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। এই জাতীয় প্রকল্পের মাধ্যমে জনকল্যাণ তদারকি করা তার অগ্রাধিকার।' তিনি আরও জানান যে, ‘পাঁচ একর জমিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো মসজিদ তৈরি হবে, সাথে গড়ে উঠবে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল, তৈরি হবে গ্রন্থাগার, কমিউনিটি কিচেন ও গবেষণাগার।’ 


আথার হুসেন মনে করেন যে, জনকল্যামমূলক প্রকল্পগুলো গড়ে তুলতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ আর্থিক সহায়তাও করবেন। তাঁর কথায়, 'আমরা জনস্বার্থে প্রকল্প তৈরি করব। আশা করছি এতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অবদান অবশ্যই থাকবে।' 



৫ই অগাস্ট অযোধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে রাম মন্দিরের ভূমি পুজো অনুষ্ঠিত হয়। সামনের সারিতে থেকে ওই অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিনই এবিপি নিউজকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছিলেন যে, 'মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে আমার কোনও ধর্ম বা গোষ্ঠীর সঙ্গে কোনও দূরত্ব নেই। কিন্তু যোগী হিসাবে প্রশ্ন করা হলে বলব আমি কখনই মসজিদের উদ্বোধন বা শিলান্যাসে যাব না। কারণ আমি যোগী ও আমি হিন্দু। একজন হিন্দু হয়ে সেই ধর্মের আচার অনুসরণ করে জীবনধারণের অধিকার আমার রয়েছে।' তাঁর স্পষ্ট দাবি, ‘যেসব রাজনৈতিক নেতারা রোজা রাখেন, ইফতার করেন, ইসলাম রীতি মেনে মাথায় টুপি দেন- তাঁরা কেবল ধর্মনিরপেক্ষতার ভান করেন।’ যোগীর কথায়, 'এই ধরনের কাজ যে ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, তা জনগণ যথেষ্ট বুঝতে পারেন।' 


এরপরই তিনি বলেছিলেন যে, 'আমাকে কেউ মসজিদের শিলান্যাস অনুষ্ঠানে ডাকবেন না, আর আমি যেতেও চাই না। আমি জানি এই ধরনের কোনও আমন্ত্রণ আমি পাবও না।'


সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি অয়েবডেস্ক থেকে  সংগৃহিত।