নিজেদের দাবি সনদ নিয়ে পথে নামলেন সংস্কৃতিকর্মীরা

শচীন পাল, সংবাদ একলব্যঃ কোভিড ১৯ প্রভাবে  বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনা পরিস্থিতি ও দীর্ঘ লকডাউনের প্রভাবে রুটি রুজি নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন সারা রাজ্যের একটা বড় অংশের সংস্কৃতি কর্মীরা। সমস্যার রয়েছেন বিভিন্ন পেশার শিল্পী থেকে শুরু করে নেপথ্য শিল্পীরা। গোটা রাজ্যের বিভিন্ন অংশের সংস্কৃতি কর্মীরা, ইতিমধ্যেই তাদের দাবি সনদ নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তারা। এই আন্দোলনের সূত্র ধরেই গোটা রাজ্যের সাথে তাল মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গ গণতান্ত্রিক লেখক শিল্পী সংঘ, ভারতীয় গণনাট্য সংঘ, ভারতীয় গণসংস্কৃতি সংঘের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির আহ্বানে মেদিনীপুরেও পথে নামলেন সংস্কৃতিকর্মীরা। আরও পড়ুনঃ  কীভাবে দেখবেন ১৯৫২ থেকে ১৯৭১ সালের ভোটার লিস্ট? কীভাবে পাবেন সার্টিফায়েড কপি ?
 
  
সংস্কৃতিকর্মীদের ন্যূনতম মাসিক পাঁচ হাজার টাকা ভাতা, সংস্কৃতি কর্মীদের স্বাস্থ্যবিমা, লোকশিল্পীদের মতো অন্যান্য সংস্কৃতিকর্মীদের পরিচয় পত্র প্রদান, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের প্রেক্ষাগৃহ অবাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ভাড়া দশহাজার টাকা থেকে কমিয়ে পাঁচ হাজার টাকা করাসহ আরও অন্যান্য বেশ কয়েক দফা দাবিতে মেদিনীপুর শহরের সংস্কৃতি কর্মীর বুধবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের রাজা বাজারের কলেজ মোড়ে রবীন্দ্র মূর্তির পাদদেশে সমবেত হন। সেখান থেকে বিভিন্ন দাবি, সনদ যুক্ত পোষ্টার ব্যানার সহযোগে মিছিল করে পশ্চিম মেদিনীপুররের জেলা শাসকের দপ্তরে যান। আরও পড়ুনঃ GOOGLE ভারতে লঞ্চ করলো PEOPLE CARDS, এই কার্ড আপনিও বানাতে পারবেন নিজের জন্য 


সেখানে জেল শাসক ডাঃ রশ্মি কমলের দপ্তরে  সংস্কৃতি কর্মীদের একটি প্রতিনিধিদল স্মারকলিপি পেশ  করেন। পরে জেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক অনন্যা মজুমদারের দপ্তরেও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।  শ্রীমতি মজুমদার সংস্কৃতিকর্মীদের বক্তব্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনবেন বলে সংস্কৃতিকর্মীদের আশ্বস্ত করেন। এদিনের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজয় পাল, প্রণব চক্রবর্তী, বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, জয়ন্ত চক্রবর্তী, পার্থ মুখোপাধ্যায়, সুনীল বেরা, অচিন্ত্য মারিক, বিশ্বেশ্বর সরকার, বিমল গুড়িয়া, প্রদীপ কুমার বসু, বিশ্ব বন্দ্যোপাধ্যায়, পার্থ বাগচি, সুতনুকা মিত্র মাইতি, নরোত্তম দে, রাজনারায়ণ দত্ত, বুবুন সরকার, সুদীপ মাইতি, ইন্দ্রানী দাশগুপ্ত, মোম চক্রবর্তী, প্রদীপ সাহা, স্বপন চক্রবর্ত্তী সহ প্রায় দেড় শতাধিক সংস্কৃতি কর্মী।