WhatsApp গ্রাহকদের জন্য সুখবর! চারটি ফোনে চলানো যাবে একটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট


স্মার্টফোন রয়েছে হাতে কিন্তু কিন্তু WhatsApp-এর সাথে পরিচিত নন, এমন ইউজার স্বচরাচর খুব কমই দেখতে পাওয়া যায়। বিশ্বের জনপ্রিয় এই মেসেজিং অ্যাপটি কয়েদিন পর পরই নতুন নতুন ফিচার নিয়ে হাজির হয় ব্যাবহারকারীদের সামনে একথা কারও অজানা নয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে শোনা যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপে আসতে চলেছে বহু প্রতীক্ষিত মাল্টিপল ডিভাইস সাপোর্ট ফিচার, যার সাহায্যে আপনি আপনার WhatsApp অ্যাকাউন্ট একই সাথে বিভিন্ন ডিভাইসে (৪টি) ব্যবহার করতে পারবেন, ঠিক ফেসবুকের মতই।


বর্তমানে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা একবারে একটি ডিভাইসে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতে পারেন। আপনি অন্য ডিভাইসে লগইন করার সঙ্গে সঙ্গে প্রথমটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে লগ আউট হয়ে যায়। কিন্তু নতুন ফিচারে তা হবে না। একই সঙ্গে একাধিক ডিভাইসে একই নম্বরে অ্যাকাউন্ট ওপেন করা যাবে। বেশ কিছু সময় ধরে এই এই ফিচারটির আক্ষেপ করছিলেন ব্যবহারকারীরা। খুব শীঘ্রই এই ফিচারটি রোল আউট করতে শুরু হরবে হোয়াটসঅ্যাপ।

ট্যুইট করে WABetaInfo জানিয়েছে যে কীভাবে কাজ করবে এই মাল্টিপেল ডিভাইস ফিচারটি। একজন হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী WABetaInfo-তে প্রশ্ন করেছিল যে Multiple device-এ লগইন কি মেইল আইডির সাহায্যে করা হবে না কি এর জন্য কোনও ইউনিক ইউজারনেম না বারকোড দরকার পড়বে? এর পরেই WABetaInfo ট্যুইট করে জানায় যে কীভাবে কাজ করবে এই ফিচার

ডিভাইসে লগইন করার জন্য ব্যবহারকারীকে নিজের মোবাইল নম্বর আর একটি কোড এন্টার করতে হবে। এর পর তাঁর নম্বরে একটি এসএমএস যাবে। ফোন নম্বর আর এসএমএস কোড অন্য ফোনে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার পারমিশন দেবে। আরও বলা হয়েছে যে WhatsApp চ্যাট করার জন্যও একটি কোড বানানো হতে পারে। যেটা iPad সাপোর্ট করবে।

হোয়াটসঅ্যাপ অনেকদিন ধরেই মাল্টি ডিভাইসের উপর কাজ করছিল। ইতিমধ্যে Linked Devices এই ফিচার অ্যান্ড্রয়েড বিটা ভার্সনের রয়েছে। আপাতত ডেভেলপাররা এই ফিচারটি নিয়ে কাজ করছেন, খুব শীঘ্রই এটি সমস্ত ইউজারের জন্য উপলব্ধ হবে। এছাড়া, WhatsApp, iOS ও অ্যান্ড্রয়েডের জন্য একটি নতুন ইন্টারফেস তৈরি করতে কাজ করছে। WABetaInfo এর রিপোর্ট অনুযায়ী, মাল্টিপল ডিভাইস সাপোর্ট ফিচারটি রোল আউট হওয়ার পর ইউজাররা একই সময়ে চারটি আলাদা ডিভাইস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে সক্ষম হবেন।

এক্ষেত্রে যখন কোনো ইউজার দ্বিতীয় ডিভাইসে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন, তখন চ্যাট ব্যাকআপের জন্য Wi-Fi কানেকশন প্রয়োজন হতে পারে। কারণ, আমাদের অনেকেরই হোয়াটসঅ্যাপে প্রচুর মেসেজ থাকে, যা কপি করতে বিশাল ডেটা খরচ হতে পারে।


হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট হিস্ট্রি দ্বিতীয় ডিভাইসে কপি হয়ে যাওয়ার পর, আপনি অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে পারবেন। সমস্ত ডিভাইস থেকেই আপনার চ্যাট হিস্ট্রির সিংক্রোনাইজেশন হবে এবং আপনি যখন কোনও ডিভাইস ব্যবহার করবেন বা সেই ডিভাইস থেকে হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট রিমুভ করবেন তখন আপনার অ্যাকাউন্ট এনক্রিপশনে কিছু পরিবর্তন হবে।

শুধু এটাই নয়, ব্যবহারকারীরা টাইম স্ট্যাম্পের সাহায্যে এটাও জানতে পারবেন যে কোন ডিভাইসে কতক্ষণ ব্যবহার করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। এই নতুন সেকশনটি অ্যাপের মেনুতে দেখা যাবে, যা ডান দিকের উপরে কোণে থাকে। এখানেই ব্যবহারকারী সেটিংস, নতুন গ্রুপ, নতুন ব্রডকাস্ট আর স্ট্যান্ডার্ড মেসেজ অপশন পেয়ে থাকেন।