অসংগঠিত শ্রমিকদের উন্নতির স্বার্থে পশ্চিমবঙ্গ সরকার পরিচালিত কিছু সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প আছে। আজ সেই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। 
যে সমস্ত সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পগুলি চালু আছে সেগুলি হলো- 
  • ভবিষ্যনিধি প্রকল্প, 
  • স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রকল্প, 
  • নির্মাণ কর্মীদের জন্য সুরক্ষা প্রকল্প, 
  • পরিবহন কর্মীদের জন্য সুরক্ষা প্রকল্প ও 
  • বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ প্রকল্প।


সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় যে সুবিধা গুলি পাওয়া যায়- 
  • দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু হলে দু'লক্ষ টাকা, 
  • স্বাভাবিক মৃত্যু হলে ৫০ হাজার টাকা। 
  • উপভোক্তা ন্যূনতম 40% শারীরিক অসমর্থ থাকলে 50 হাজার টাকা, 
  • উপভোক্তা দুর্ঘটনাজনিত কারণে দুটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারালে, দুটি হাতের কর্মক্ষমতা অথবা দুটি পায়ে চলার শক্তি হারালে দু'লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ 
  • উপভোক্তার দুর্ঘটনাজনিত কারণে একটি চোখের দৃষ্টিশক্তি হারালে, একটি হাতের কর্মক্ষমতা অথবা একটি পায়ে চলার শক্তি হারালে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। 
  • উপভোক্তার দুটি কন্যা সন্তান এর স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনা শেষ করার জন্য প্রত্যেককে 25 হাজার টাকা আর্থিক সহযোগিতা প্রদান 
  • এই সুবিধা কন্যাদের পড়াশুনা শেষ হওয়া পর্যন্ত অবিবাহিত থাকলে তবেই প্রদান করা হবে। 
  • একাদশ শ্রেণীতে পাঠরত থাকলে ৪ হাজার টাকা 
  • দ্বাদশ শ্রেণীতে পাঠরত থাকলে ৫ হাজার টাকা 
  • আই টি আই তে প্রশিক্ষণরত থাকলে বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা 
  • স্নাতক স্তরে (কলা/বানিজ্য/বিজ্ঞান) পাঠরত থাকলে বাৎসরিক ৬ হাজার টাকা 
  • স্নাতক স্তরের পাঠরত থাকলে (কলা/বিজ্ঞান/বানিজ্য) বাৎসরিক ১০ হাজার টাকা 
  • পলিটেকনিকে পাঠরত থাকলে বাৎসরিক ১০ হাজার টাকা 
  • ডাক্তারি/ ইঞ্জিনিয়ারিং পাঠরত থাকলে বাৎসরিক ৩০ হাজার টাকা। 
  • উপভোক্তা এবং অথবা তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্য এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে তারা বিকল্প অর্থনৈতিক কাজ-কারবার করতে সমর্থ হয়। 
  • সোসাইটি ফর স্কিল ডেভেলপমেন্ট থেকে নিখরচায় এই প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়। 
  • প্রতিটি নথিভূক্ত শ্রমিককে সামাজিক মুক্তি কার্ড প্রদান করা হবে।  
  • সামাজিক সুরক্ষা যোজনায় নথিভুক্ত উপভোক্তার আরো একটি বড় সুবিধা হলো প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুবিধা। আগে 25 টাকা প্রতি মাসে জমা করতে হতো এবং সরকার সেই ফান্ডে 30 টাকা জমা করতেন। কিন্তু ১ এপ্রিল 2020 থেকে সরকার 25 টাকা দিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করায় বর্তমানে এই 25 টাকা জমা করতে হয় না। সেই জন্য এই প্রকল্পের আরো একটি নাম দেওয়া হয়েছে “বিনামূল্যে সামাজিক সুরক্ষা যোজনা।”
  • প্রভিডেন্ট ফান্ডের এই জমা টাকা 60 বছর বয়স পূর্ণ হলে উপভোক্তা সুদে-আসলে ফেরত পাবে । যোজনা চলাকালীন মাঝপথে উপভোক্তার মৃত্যু হলে তার নমিনি এই টাকা ফেরত পাবেন। আর মেয়াদ পূর্ণ হলে উপভোক্তা পাবেন 2 লক্ষ 50 হাজার টাকারও বেশি। 
  • উপভোক্তা বা তার পরিবারের সদস্যরা  চিকিৎসার জন্য বাৎসরিক কুড়ি হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন 
  • শল্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে বাৎসরিক সর্বোচ্চ 60 হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য পাওয়ার অধিকারী হবেন, 
  • দুর্ঘটনাজনিত কারণে উপভোক্তার কর্মদিবস নষ্ট হলে উপভোক্তা প্রথম পাঁচ দিনের জন্য 1000 টাকা এবং বাকি দিনগুলি প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত 100 টাকা করে সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকা পর্যন্ত পেতে পারেন। 

আবেদন পত্রের সাথে যে সমস্ত তথ্যের প্রয়োজন- 
  • আবেদনকারীর ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক একাউন্টের জেরক্স কপি, পাসপোর্ট সাইজ ছবি (2 কপি), লেবার কার্ড যদি থাকে তার জেরক্স। 
  • নমিনির ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট বইয়ের জেরক্স। 
  • পরিবারের অন্যান্য সদস্যের বয়সের প্রমাণপত্র – ভোটার কার্ড / আধার কার্ড / জন্ম সার্টিফিকেট / এডমিট কার্ড। 

আবেদনের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি মনে রাখতে হবে-

  • সদস্য হতে ইচ্ছুক আবেদনকারীকে (অসংগঠিত শ্রমিককে) পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে 
  • বয়স 18 থেকে 60 বছরের মধ্যে হতে হবে 
  • পারিবারিক উপার্জন 6,500 টাকার বেশি হওয়া চলবে না 
  • নির্মাণ কর্মী ও পরিবহন কর্মীদের জন্য সুরক্ষা প্রকল্পের ইতিমধ্যে নাম নথিভুক্ত যে সকল শ্রমিক রয়েছেন তারা এই যোজনা তে সদস্য হতে পারবেন, এক্ষাত্রে একটি নির্দিষ্ট (Form-1) ভর্তি করে দরখাস্ত করতে হবে। 

আবেদনপত্র ডাউনলোড করুন- 

সামাজিক সুরক্ষা যোজনা ফর্ম ডাউনলোড করুন  Click Here


অনলাইনে আবেদন করতে-
আপনি চাইলে এই যোজনায় অনলাইনে নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। অনলাইনে আবেদন জানাতে ক্লিক করুন- CLICK

যেকোনো অতিরিক্ত তথ্য ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন 1800 10309 009 নম্বরে। অথবে বিস্তারিত জানতে ডাওনলোড করুন  PDF