• নাকে স্প্রে করলেই জব্দ কোভিড ১৯ সংক্রমণ
  • এই স্প্রে বায়ুতে উপস্থিত করোনাভাইরাসকে প্রায় ১০০ শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম
  • সেপ্টেম্বরে বাজারে উপলব্ধ হবে এই ন্যাসাল স্প্রে
  • সমুদ্রের জলে পাওয়া প্রাকৃতিক লবণ থেকে তৈরি
  • পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে
বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো করোনা ভাইরাস নিয়ে গবেষণা অব্যাহত। শতাধিক গবেষণা চললেও এখনও আবিষ্কার হয়নি প্রতিষেধক। দশের বেশি গবেষণা মানব শরীরে ট্রায়ালে অনুমোদন পেয়েছে। কিন্তু এখনও কোনও বড়ো সাফল্য নজরে আনতে পারেননি বিজ্ঞানীরা। আপাতত কখনও হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন কখনও ম্যালেরিয়ার ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। সম্প্রতি রেমডেসিভির নামক ওষুধের ব্যবহারের কথা শোনা গেছে। এবার আরও এক নতুন খবর পাওয়া গেল। সেই খবর দিলেন হার্ভার্ডের অধ্যাপক। 

নাকে স্প্রে করলেই পালিয়ে যাবে করোনা ভাইরাস! হ্যাঁ, এমনটাই জানাচ্ছেন হার্ভার্ডের অধ্যাপক ডেভিড এডওয়ার্ডস। বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ডেভিড এডওয়ার্ডসের দাবি, তাঁরা এমন একটি ভ্যাকসিন তৈরি করতে চলেছেন যেটা কেবলমাত্র নাকে স্প্রে করলেই হবে। করোনাভাইরাস ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন, এই স্প্রে বায়ুতে উপস্থিত করোনাভাইরাসকে প্রায় ১০০ শতাংশ হ্রাস করতে সক্ষম। এতে সংক্রমণ রুখে দেওয়া সম্ভব। সেপ্টেম্বরে বাজারে উপলব্ধ হবে এই ন্যাসাল স্প্রে। এটি সমুদ্রের জলে পাওয়া যায় এমন প্রাকৃতিক লবণ থেকে তৈরি।

জানা গেছে, এই স্প্রে ১০ ​​জন স্বেচ্ছাসেবীর ওপর পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে। যাঁদের মধ্যে পাঁচজন ৬৫ বছরের বেশি বয়স্ক এবং পাঁচজনের বয়স দশের কম। 

গবেষকরা বলছেন, তাঁরা করোনাভাইরাসের ডিএনএ গবেষণা করে তার ভিত্তিতেই এই স্প্রে তৈরি করছেন। নাকে এই ভ্যাকসিন স্পে করার সঙ্গে সঙ্গে সেটা শ্বাসনালী দিয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করবে। সঙ্গে সঙ্গে করোনভাইরাসের বিরুদ্ধে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা সক্রিয় হয়ে উঠবে।