কেন্দ্রের মহাবিতর্কিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির আগে ‘Reconciliation, Relief and Rehabilitation'(পুনর্মিলন, মুক্তি এবং পুনর্বাসন) -এর আবেদন,


৩৭০ ধারা এবং ‘পূর্ণ রাজ্যে’র মর্যাদা ফেরানোর দাবি কাশ্মীরি পণ্ডিতদের 

ওয়েবডেস্ক ঃ 

গত বছর ৫ আগস্ট কেন্দ্র সরকার কাশ্মীর থেকে বিশেষ মর্যাদা সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত‌্যাহার করে নেন। পাশাপাশি, ওইদিনেই সংসদে জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন বিল পাস হয়। রাজ‌্য ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল গঠিত হয়েছে। 

কিন্তু কেন্দ্রের সেই সিদ্ধান্ত সংবিধান বিরোধী বলে মনে করছে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠন। কেন্দ্রের মহাবিতর্কিত ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের বর্ষপূর্তির আগে ‘Reconciliation, Relief and Rehabilitation'(পুনর্মিলন, মুক্তি এবং পুনর্বাসন) -এর আবেদন, উপত্যকার বিশেষ মর্যাদা এবং সংবিধানের ৩৭০ পুনর্বহাল করে আবার সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে সরব হচ্ছেন কাশ্মীরি পণ্ডিতের এক সংগঠন। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের সংগঠনটি শুরু থেকেই কেন্দ্রের একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে।

ওই সংগঠনটির চেয়ারম্যান সতীশ মহলাদার বলেন, "আমরা যত দ্রুত সম্ভব কাশ্মীরের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা এবং সংবিধানের ৩৭০ ধারা (Article 370) পুনর্বহাল চাই । ভারতের সংবিধান প্রত্যেক ব্যক্তি, প্রত্যেক ধর্ম, প্রত্যেক সম্প্রদায় এবং প্রত্যেক সামাজিক সংগঠনকে সমানাধিকার দেয়। এর আগে কোনওদিন কোনও প্রদেশের পূর্ণরাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নেওয়া হয়নি। এটা কোনও গণতন্ত্রে হয় না। সেনা নামিয়ে একটি রাজনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। কোনও সরকার নিজের লোকেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যেতে পারে না।”

এই দলটি প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সরকারের কাছে একটি আবেদন জানিয়েছে, "জম্মু ও কাশ্মীরের লোকেরা আপনার নিজস্ব লোক ছিল, তাদের ভালোবাসো। একটি ভাল অঙ্গভঙ্গি হিসাবে জম্মু ও কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। প্রতিনিধি / সংসদ সদস্যরা জনগণের পক্ষে, জনগণের দ্বারা এবং তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং মানুষের ইচ্ছা বুঝতে হবে "।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পশ্চাৎপদ অঞ্চলের স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষা রক্ষা, জনগণের সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার জন্য, সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে এবং রাজ্যের কয়েকটি অংশে আইন-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য বিশেষ বিধানগুলি তৈরি করতে হবে। আরও উল্লেখ করেছে যে অন্যান্য রাজ্যের সাথে বিশেষ বিভাগের মর্যাদা উপভোগ করা জম্মু ও কাশ্মীর একমাত্র রাজ্য ছিল না।