WEBDESK REPORT: 


এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের একটাই চিন্তা - করোনার ভ্যাকসিন। রাতদিন এক করে করোনার প্রতিষেধক নির্ণয়ের পেছনে লেগেছে গোটা বিশ্বের গবেষক-বিজ্ঞানীর দল। 

রাশিয়া, ভারতের মতো কিছু দেশ করোনার প্রতিষেধকের কথা বললেও এখনো পরীক্ষামূলকভাবে সফলতার প্রমান পাওয়া যায়নি। যদিও অক্সফোর্ড ইউনির্ভার্সিটি এবং অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথ উদ্যোগে তৈরী "অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনকা" ভ্যাকসিনে মিলেছে সাফল্য। সোমবারের প্রথম হিউম্যান ট্রায়ালে তারা জানিয়েছে এই ভ্যাকসিন নিরাপদ, সহনশীল এবং অনাক্রম্যতা সৃষ্টিকারী।

এই ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করে এই পরীক্ষার প্রধান লেখক অ্যান্ড্রু পোলার্ড বলেছেন, “নতুন ভ্যাকসিনটি শিম্পাঞ্জি অ্যাডেনোভাইরাস ভাইরাল ভেক্টর (ChAdOx1) ভ্যাকসিন যা SARS-CoV-2 স্পাইক প্রোটিনকে প্রকাশ করে। এটি  শিম্পাঞ্জিকে সাধারণ সর্দি কাশিতে সংক্রামিত করে এমন একটি ভাইরাস (adenovirus) যেটিকে দুর্বল করে দেয়া হয়েছে যাতে এটি মানুষের কোনও রোগ সৃষ্টি করতে না পারে এবং এটিকে জেনেটিকভাবে মানব SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের কোডে পরিবর্তিত করা হয়েছে।"

অক্সফোর্ডের দুটি পর্যায়ে ট্রায়াল হবে। তার মধ্যে এটা ছিল প্রথম পর্যায়ের ট্রায়ালের রিপোর্ট। ব্রিটিশ পত্রিকা 'দ্য ল্যান্সেট'-এ সেই রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। পত্রিকার এডিটর রিচার্ড হর্টন ট্যুইট করে জানিয়েছেন, প্রথম পর্যায়ের রিপোর্ট খুবই উত্‍সাহজনক। এই ভ্যাক্সিনে কোনও বিপদ নেই। সহ্য করাও সম্ভব।"