pic source: twiiter

৩৫ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত

আসাম এবং বিহারের মতো রাজ্যে বর্ষার সময় বন্যা পরিস্থিতি নতুন কিছু নয়। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরছাড়া হয়। তবে এবছরের চিত্র অধিক সংকটময়। পূর্ব ভারতের বেশ কিছু অংশে একটানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে এবছরের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। 


শুক্রবার পাওয়া খবর অনুযায়ী এই দুই রাজ্যে এখনো পর্যন্ত প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত।বিহারের উত্তরাংশ সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত সেখানে সর্বমোট ১৩১ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। আধিকারিকদের মতে এবছরে নেপালে অধিক বৃষ্টিপাতের দরুন বেশকিছু নদী উত্তোলিত হয়ে পরে যাদের উৎসস্থল নেপাল। গোপালগঞ্জ এবং পূর্ব চম্পারনে গণ্ডক নদীর জল ঢুকে পড়ায় প্রায় গোটা জেলা জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে। জলসম্পদ দপ্তরের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার রাজেশ কুমার গোপালগঞ্জে বাধ মেরামতির কাজ জোরকদমে চলছে বলে জানিয়েছেন। 


বিহারে ১০টি জেলার প্রায় ৭ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত। দারভাঙা অঞ্চল সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত। ওই অঞ্চলে প্রায় ৩ লক্ষ ২৫ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত। কেন্দ্রীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ইতিমধ্যেই জলবন্দি মানুষের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছে। 

আসামের রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে সেই রাজ্যের ২৭টি জেলার প্রায় ২৭ লক্ষ মানুষ বন্যা কবলিত ! জলে ডুবে প্রায় ৯৬জন এবং ধসের ফলে প্রায় ২৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। ৫০,০০০-এর বেশী মানুষকে ৩০১টি রিলিফ ক্যাম্পে সরিয়ে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যে।

এএসডিএমএর রাজ্যের প্রকল্প সমন্বয়কারী পঙ্কজ চক্রবর্তী বলেছিলেন, " “আমরা বন্যার তৃতীয় তরঙ্গ প্রত্যক্ষ করছি। মে মাসের শেষ থেকে বৃষ্টিপাত এবং বন্যা বয়ে চলেছে। ভারত আবহাওয়া অধিদফতর এর পূর্বাভাস অনুসারে যখন বৃষ্টিপাত হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন বন্যার তরঙ্গের মধ্যে ব্যবধানের অভাবের কারণ হতে পারে। ৪৩০ স্কোয়াড এলাকা জুড়ে প্লাবিত হয়েছে কাজীরঙ্গা জাতীয় উদ্যান , এবং সেই সাথেই টাইগার রিজার্ভকে (কেএনপিটিআর) প্লাবিত করে চলেছে। এই মরসুমে, পার্কের আশেপাশে ১৩ টি গন্ডার (ডুবে যাওয়ার কারণে ৯ এবং প্রাকৃতিক কারণে ৪) সহ পার্কের ১২২ জন প্রাণি মারা গেছে।