গত ১০ দিনে লিটারপ্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৫ টাকা ২৫ পয়সা এবং ডিজেলের ৫ টাকা ২২ পয়সা
করোনার কোপে লক ডাউনের জেরে একদিকে যখন মানুষ নাজেহাল তখন অন্যদিকে লাগাতার মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে জ্বালানির। সব মিলিয়ে নাভিশ্বাস উঠছে মধ্যবিত্তের। পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে সরব হয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। গত সপ্তাহে যেভাবে প্রায় প্রতিদিনই জ্বালানির দাম বেড়েছে তা নিয়ে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করে চিঠি লিখলেন তিনি। সঙ্কটের সময়েও যেভাবে দেশে পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে তার কোনও যৌক্তিকতাই খুঁজে পাচ্ছেন না বলেই জানিয়েছেন।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি লেখেন, "কোভিড- ১৯ এর সঙ্কটের ফলে যে অর্থনৈতিক প্রভাব পড়েছে তাতে লক্ষ লক্ষ মানুষ তাঁদের চাকরি ও জীবিকা হারিয়েছেন, ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র ব্যবসাগুলোও মুখ থুবড়ে পড়েছে, মধ্যবিত্তের আয়ের পরিমাণ এক ধাক্কায় অনেকটা কমে গেছে, এমনকী কৃষকরাও খরিফ মরসুমের ফসল বপনের জন্যে লড়াই চালাচ্ছেন, ঠিক এমন একটা সময়ে সরকার কেন এত দাম বৃদ্ধির কথা ভাবছে তার আমি কোন যুক্তি দেখতে পারছি না"
করোনা-কালে মানুষ সঙ্কটের মধ্যে আছে। সরকার অসংবেদনশীল ও অবিবেচকের মতো তেলের দাম বাড়িয়ে চলেছে। সরকারের কাজ মানুষকে সমস্যায় ফেলা নয়। সরকারের উচিত মানুষের দুর্দশা লাঘব করা। অবিলম্বে পেট্রোল-ডিজেলের বর্ধিত দাম প্রত্যাহার করার দাবি করেন তিনি। চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার যা করছে, তা হল কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে চলা মানুষের থেকে লাভ আদায় করা।
সনিয়ার অভিযোগ, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং একইসঙ্গে জ্বালানি শুল্কবৃদ্ধির মতো অবিবেচক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই সময়ও সরকার অতিরিক্ত ২.৬ লক্ষ কোটি টাকা আয় করেছে।
কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন যে গত ৬ বছরে "ঐতিহাসিকভাবে তেলের দাম কম" থাকা সত্ত্বেও, ১২ বার বিভিন্ন ছুতোনাতায় পেট্রোল এবং ডিজেলের দামের উপর শুল্ক বৃদ্ধি করে সরকারের রাজস্ব বাড়িয়েছে। তিনি বলেন, পেট্রোলের দামের উপরে ২৫৮ শতাংশ এবং ডিজেলের দামের উপরে ৮২০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করে পেট্রোল ও ডিজেলের আবগারি শুল্ক থেকে ১৮,০০,০০০ কোটি টাকা উপার্জন করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সনিয়া লেখেন, আপনি যদি চান তাঁরা আত্মনির্ভর হোন, তাহলে তাঁদের আর্থিক দুর্দশার মধ্যে ফেলবেন না। এতে তাঁরা এগোতে পারবেন না । একইসঙ্গে, এই কঠিন সময়ে দুর্দশাগ্রস্তদের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁছে দিতে সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগাতে সরকারকে অনুরোধ করেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
Social Plugin