Pic source: Mumbai Mirror

  • একদিকে করোনায় আক্রান্ত অন্যদিকে লক ডাউনের জেরে গেছে চাকরি বিপাকে নকল সচিন।
  • কাজ হারিয়ে চলতি মাসের শুরুতে পঞ্জাবের নিজের গ্রামে ফিরে এসেছিলেন 
  • ‘গোলি বড়া পাও’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্ব্যাসেডর এর কাজ করতেন তিনি 

গোটা দেশ জানে ক্রিকেটের ভগবান সচিন তেন্দুলকরের সঙ্গে চেহারার অবিকল মিল রয়েছে এক ব্যক্তির। আর তিনি হলেন বলবির সিং। করোনা সংক্রমণের জেরে জারি লক ডাউনের মাঝেই সপরিবারে চরম দুর্দশার সম্মুখীন হয়েছে এই নকল সচিন। অনেকের মতোই কোভিড-১৯ মহামারীতে সেও আজ আর্থিক কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন৷

কিংবদন্তি ক্রিকেটারের সচিন তেন্দুলকরের সঙ্গে চেহারার মিল থাকায় এক সময় মুম্বইয়ের ফুড চেইন ‘গোলি বড়া পাও’-এর ব্র্যান্ড অ্যাম্ব্যাসেডর হয়েছিলেন বলবীর। টানা ২২ বছর ধরে সচিনের নকল হিসেবে কাজ করে গিয়েছেন তিনি। 

কাজ হারিয়ে চলতি মাসের শুরুতে পঞ্জাবের নিজের গ্রামে ফিরে এসেছিলেন ৫০ বছরের বলবীর৷ তিনি কাজ করতেন মুম্বাইয়ের গলি বড়া পাও ফুড চেইনের দোকানে। কিন্তু করোনার জেরে জারি লক ডাউনে ব্যবসায় মন্দা দেখা দেওয়ায় বাধ্য হয়ে মালিককে কর্মী ছাটাই করতে হয়েছে। বলবিরের চাকরিও হারিয়েছে। দিতে পাচ্ছিলেন না ঘর ভাড়া। তাই নিজ বাড়িতেই ফেরার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ও সন্তান। বাড়ি ফেরার জন্য করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ১৫ বোতল স্যানিটাইজার, এন ৯৫ মাস্ক এবং বাড়িতে তৈরি করা খাবারও নেন তিনি। কিন্তু অন্যান্য যাত্রীদের উদাসীনতার জেরে শেষ পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত হন তিনজনেই। ভর্তি হন হাসপাতালে। ১১দিন পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান তাঁরা।

ছোটবেলা থেকেই কবাডি খেলতেই বেশি পছন্দ করতেন। সচিনের চেহারার সাথে মিল থাকায় এক সময় বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। এমআরএফ, তোশিবা, রেনল্ডস এবং টিভিএস-এর মতো ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপনে বলবীরও সচিনের ‘ডাবল’ হয়েছিলেন৷মুম্বইয়ে দোকানের উদ্বোধন হোক বা রেস্টুরেন্ট লঞ্চে হত বলবীরের হাতেই৷ তাঁকে ঘিরে সচিন ভক্তদের উন্মাদনাও ছিল চোখে পড়ার মত।

১৯৯৯ সালে ভারত-পাকিস্তান টেস্ট দেখতে দিল্লিতে যান বলবীর। গ্যালারিতেও বলবীরকে নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়, তাঁকে কমেন্ট্রি বক্সে আমন্ত্রণ জানান স্বয়ং সুনীল গাভাস্কর। সেই সুবাদেই গোটা বিশ্বের সঙ্গে পরিচয় হয় সচিনের অনুরুপ চেহারার বলবিরের। পরে তাজ হোটেলে স্বয়ং তেন্ডুলকরের সঙ্গে দেখা করাতে গিয়ে ছয়খানা ছবিতে সচিনের অটোগ্রাফও সংগ্রহ করেন তিনি। সই দেওয়ার পরে সচিনকে জানান, ছবিগুলি আসলে তাঁর নিজেরই। তাতে প্রচণ্ড অবাক হয়ে যান কিংবদন্তি সচিন। ৫টি ছবি চেয়েও নেন।

সচিন তেন্দুলকরের চেহারার মিল থাকার সুবাধে অনেক কিছুই করেছেন তিনি। ঘুরে বেরিয়েছেন দেশ বিদেশ। নাম কামিয়েছেন মুম্বাইয়েও। নামি কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডরও ছিলেন। এখন নিজে কিছু করতে চান তিনি। লেখালেখি করেন তিনি। গানও লেখেন।