গত ১৫ই জুন ভারত-চিন সীমান্ত পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে ভারত-চিনা সেনাবাহিনীর মুখোমুখি সংঘর্ষে শহীদ হন ২০জন ভারতীয় সেনা। এরপরেই উত্তাল দেশ। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিনা পন্য বয়কটের ডাক দিয়ে এক প্রকার আন্দোলন শুরু হয়েছে। 

চিনা পণ্য বয়কটের ডাকে সমর্থন চেয়ে মুকেশ অম্বানি ও আরও ৫০ জন প্রথম সারির দেশীয় শিল্পপতিকে চিঠি লিখল বণিক সংগঠন কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)। দেশের ৬ কোটির ওপর ব্য়বসায়ীর এই মঞ্চ কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি)। 

মুকেশ ছাড়াও রতন টাটা, গৌতম আদানি, আজিম প্রেমজি, সুনীল ভারতী মিত্তল, আদি গোদরেজ, অজয় পিরামল, কুমার মঙ্গলম বিড়লা, বিক্রম কির্লোস্কার, রাহুল বাজাজ, আনন্দ মহেন্দ্র, উদয় কোটাক, নুসলি ওয়াদিয়া, পালনজি মিস্ত্রী প্রমুখ শিল্পপতির সমর্থন চেয়ে চিঠি দিয়েছে সর্বভারতীয় বণিক সংগঠনটি।

তাঁরা চিঠিতে লিখেছে, সিএআইটি অম্বানির নেতৃত্বাধীন শিল্পপতিদের গোষ্ঠীকে মূল্যবান শরিক হিসাবে তাদের আন্দোলনে সামিল হওয়ার আমন্ত্রণ জানাচ্ছে, যে গণ আন্দোলনের চিনের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে গোটা দুনিয়ার অতি বৃহৎ শক্তি হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ভারতের যাত্রাকে নতুন চেহারা দেওয়ার, তাতে গেম চেঞ্জার হয়ে ওঠার ক্ষমতা আছে, তাতে তাঁদের সমর্থন চাই।

ধীরে ধীরে চিনা পণ্য বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁরা। প্রথম পর্যায়ে তারা প্রায় ৪৫০টি বিস্তারিত ক্যাটেগরির চিহ্নিত তালিকা থেকে সম্পূর্ণ তৈরি পণ্য বাছাই করেছে। ওই ক্যাটেগরিতে পড়ছে ৩ হাজারের বেশি পণ্য, যেগুলি ইতিমধ্যেই ভারতে তৈরি হচ্ছে।