করোনার দাপটে কুপোকাত দেশ। এমন পরিস্থিতিতে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সকল রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল গুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে ভার্চুয়ালে বৈঠক করবেন। বিগত দিনেও একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। আগামী ১৬ ও ১৭ই জুন ফের বৈঠক করবেন তিনি। 


তবে, এবারের বৈঠককে দুটো ভাগে ভাগ করেছেন তিনি। ১৬ই জুন ২১ টি রাজ্য / কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল এবং ১৭ই জুন ১৫টি রাজ্য / কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলেই জানা গেছে। 

আজ পাঞ্জাব, আসাম, উত্তরাখন্ড, কেরালা, ঝাড়খন্ড , ত্রিপুরা ,ছত্রিশগড় , হিমাচল, চণ্ডীগড় , গোয়া , মনিপুর ,নাগাল্যান্ড , লাদাখ ,অরুনাচল ,পুদুচেরি ,মেঘালয় ,মিজোরাম ,আন্দামান ও নিকোবর দীপপুঞ্জ ,দাদার নগর হাবেলি ও দমন দিউ, সিকিম ও লাক্ষাদ্বীপ -এর সাথে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। 

দেশের ২১ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে মোদি বলেছেন, করোনায় এক ভারতীয়র মৃত্যুও দুর্ভাগ্যজনক। কিন্তু একইসঙ্গে এটাও সত্যি যে, ভারত বিশ্বের অন্যতম একটি দেশ যেখানে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর হার সবচেয়ে কম।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, ‘ জনসংখ্যার নিরিখে ভারতে করোনা অতটা প্রভাব ফেলতে পারেনি।’ ভারতের লকডাউন ও দেশের জনগন যেভাবে তা পালন করেছেন, তা বিশেষজ্ঞদের প্রশংসা আদায় করে নিয়েছে। সারা বিশ্বে তা আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। লকডাউনের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়েছে, ভারতে ততটা ছড়ায়নি।


মোদি বলেছেন,‘বিদেশ থেকে ভারতীয়রা দেশে ফিরছেন।কয়েক সপ্তাহে লক্ষ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিক ঘরে ফিরেছেন। করোনায় কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক, প্রত্যেকের জীবন মূল্যবান।ভারতে করোনার সংক্রমণ-মুক্ত ৫০ শতাংশের বেশি। নিয়ম মেনে চললে, করোনা সঙ্কটে ভারতে কম ক্ষতি হবে।’


প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘নিয়ম মেনে চললে, করোনা সঙ্কটে ভারতে কম ক্ষতি হবে। করোনা মোকাবিলায় মাস্ক ছাড়া বাইরে বেরোবেন না। কোথাও একটু গাফিলতি করোনার বিরুদ্ধে লড়াই দুর্বল করবে। সামান্য গাফিলতিই এতদিনের লড়াই শেষ করে দেবে। মে মাসে ভারতে গতবারের তুলনায় বেশি সার বিক্রি হয়েছে। লাগাতার ৩ মাসের পরে জুনে দেশে রফতানি বেড়েছে। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্পের জন্য অনেক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, তাতেও লাভবান হবেন কৃষকরা