সুরশ্রী রায় চৌধুরী ঃ 
করোনার জেরে লকডাউনে মার্চ মাস থেকে ঘরবন্দি দেশবাসী।  ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের কাছে বাড়িতে বসে থাকা খুবই দুস্কর। এই রাজ্য পাহাড় হোক বা সমুদ্র বাঙালিদের কাছে সপ্ন পুরী। তাই ভ্রমণ পিপাসু বাঙালিদের জন্য রাজ্যের অনেক পর্যটন কেন্দ্রই খোলা হচ্ছে। 

ইতিমধ্যে দিঘা ও মন্দারমণিতে কয়েকটি হোটেল খুলেছে। ঝাড়গ্রামে দু’টি সরকারি আবাস খোলার পাশাপাশি পর্যটক টানতে শ্যুটিং স্পট ধরে সিনে-পর্যটনের ভাবনাচিন্তা চলছে। ডায়মন্ড হারবারের সাগরিকা টুরিস্ট লজ খোলা হয়েছে। তবে বকখালি পিকনিক স্পটএবং সাগরের পর্যটনকেন্দ্র খোলা নিয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। গেস্টহাউস-সহ উত্তর ২৪ পরগনার টাকি পর্যটনকেন্দ্রও খুলছে। পশ্চিম বর্ধমানের মাইথনে পর্যটক নিবাসটি খুললেও বাকি বেসরকারি হোটেল এখনই খুলবে না। বিষ্ণুপুরের সরকারি ট্যুরিস্ট লজ এবং বেসরকারি হোটেল-লজ খুলছে। মুকুটমণিপুরের বেসরকারি হোটেল ও লজও খোলা হচ্ছে। পুরুলিয়ায় অযোধ্যা পাহাড়েও বেসরকারি হোটেল, রিসর্ট খুলে যাচ্ছে। হাওড়ার গাদিয়াড়া ও গড়চুমুকে করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে বলে সেগুলি খোলা হচ্ছে না। মন্দারমণিতে হোটেল না খোলার আর্জি জানিয়ে বিডিও-কে স্মারকলিপি দিয়েছেন গ্রামবাসীরা।

পূজোর সময় থেকে শুরু হচ্ছে IRCTC ট্যুর। তবে IRCTC বেশকিছু নিয়মকানুন, বিধিনিষেধও আরোপ করতে চলেছে ।

IRCTC অধিকর্তা দেবাশিস চন্দ্র জানিয়েছেন, ট্যুরে যাওয়ার আগে প্রত্যেক যাত্রীকে কোভিড সংক্রমণ নেই, এই ছাড়পত্র জমা দিতে হবে।

পাশাপাশি ৬৫ বছরের উপরে যাঁদের বয়স বা যাঁরা গর্ভবতী তাঁরা ট্যুরে যেতে পারবেন না। এখন থেকে ট্যুরের প্ল্যানিংও হবে আলাদা। ৫ থেকে ৬ জনের ছোট ছোট গ্রুপ নিয়ে হবে ট্যুর।

দেবাশিস বাবু জানান, মূলত উত্তর-পূর্বের বিভিন্ন রাজ্য এবং ট্রেকিং এলাকায় ট্যুরের প্ল্যান করা হচ্ছে মূলত।