ভারত এবং চিনের মধ্যে প্রায় ৩,৫০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত এলাকা রয়েছে। ইদানিং সেই সীমান্ত এলাকাতেই দুই দেশের সেনার মধ্যে চাপানউতোর চলতে চলতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সোমবার রাতে গলওয়ান উপত্যকায় চিনের সাথে সহিংস মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৬ বিহার রেজিমেন্টের কম্যান্ডিং অফিসার কর্নেল সন্তোষ বাবু। এই খবরে শোকস্তব্ধ পরিবারের সকলেই, তবে গর্বিত বাবা-মা। 

সন্তোষ বাবু তেলঙ্গানার সূর্যপেট জেলায় বাসিন্দা। ২০০৪ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। শুরুতেই তাঁকে পাঠানো হয় জম্মু ও কাশ্মীরে। কিছুদিন পরেই তাঁর হায়দরাবাদে পোস্টিং হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি প্রাণ হারালেন। তাঁর স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তাঁরা দিল্লিতে আছেন। 

এ বিষয়ে সূর্যপেটের পুলিশ সুপার আর ভাস্করণ জানিয়েছেন, ‘আমার কাছে এখনও পর্যন্ত যা খবর আছে, সন্তোষ বাবুর দেহ প্রথমে দিল্লিতে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে সূর্যপেটে আসবেন স্ত্রী ও সন্তানরা। এখানেই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।’


কর্নেলের বাবা বি উপেন্দ্র জানিয়েছেন, ‘আমারও সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করার ইচ্ছা ছিল। কিন্তু আমি সেটা করতে পারিনি। তাই আমি চাইতাম আমার ছেলে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে দেশের সেবা করুক। আত্মীয়রা আপত্তি জানিয়েছিল। তবে আমি এই নীতি থেকে সরে আসিনি। ছেলে আমার সেই ইচ্ছা পূরণ করেছে। ও দেশের জন্য প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। তাই ওকে নিয়ে আমি গর্বিত। ওর সঙ্গে শেষ কথা হয় রবিবার। আমি ওকে সাবধানে থাকতে বলেছিলাম।’


সন্তোষের মা জানিয়েছেন, ‘আমার ছেলে দেশের জন্য় প্রাণ দিয়েছে। ওর জন্য আমি গর্বিত।’

দুপুরে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সন্তোষের পরিবারকে তাঁর মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। আগামীকাল শেষকৃত্যের জন্য তাঁর দেহ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।