করোনা সংক্রমণে বিধ্বস্ত দেশ, ধুঁকছে অর্থনীতি, ঘরবন্দি মানুষ। একদিকে পেটের টান অন্যদিকে সংক্রমণের ভয় সবকিছুকে একাত্ত করে চলতে হচ্ছে মানুষকে। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আশায় দিনরাত পরিশ্রম করে চলছেন বিজ্ঞানীরা। নানা দেশে নানা পর্যায়ে রয়েছে ট্রায়াল। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে ভারত সহ বিশ্বের নানা দেশে। দিও ভারতে সুস্থ হয়ে ওঠার হারও বাড়ছে বলে দাবি কেন্দ্রের। 

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় অস্ত্র হতে পারে স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন। এক ট্রায়ালে প্রকাশ, সবচেয়ে মারাত্মক কোভিড-১৯ সংক্রামিত ব্যক্তিদের অর্থাত, যাঁরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রবল সঙ্কটে পড়েছেন, তাঁদের এক তৃতীয়াংশের জীবন রক্ষা পেয়েছে এই স্টেরয়েড প্রয়োগ করে চিকিতসায়।

ব্রিটেনের নেতৃত্বাধীন এই ক্লিনিকাল ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞানীদের দাবি, এটা বড় ধরনের ব্রেক থ্রু! এই ট্রায়ালের নাম দেওয়া হয়েছে রিকভারি। 

বিজ্ঞানীরা বলেছেন, ট্রায়াল থেকে সিদ্ধান্তে আসা যায়, এই ওষুধটিকে অবিলম্বে করোনাভাইরাস অতিমারীর লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে চিকিত্সাধীন লোকজনকে দেওয়া উচিত। 

বিজ্ঞানী দলের সহকারী অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মার্টিন ল্যান্ডরে বলেছেন, এই ফলে দেখা যাচ্ছে., যদি কোভিড-১৯ সংক্রামিত রোগীরা ভেন্টিলেটরে থাকেন বা অক্সিজেন সাপোর্টে থাকেন, তবে তাঁদের ডেক্সামেথাসোন দেওয়া হলে জীবন বাঁচবে এবং তা স্বল্প খরচে।

তাঁর সহকারী পিটার হর্বি বলেছেন, জেনেরিক স্টেরয়েড ডেক্সামেথাসোন অন্যান্য অসুখের ক্ষেত্রে প্রদাহ কমাতে দেওয়া হয়। এটাই এখনও পর্যন্ত একমাত্র ওষুধ যা মৃত্যু উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় কমানোর ক্ষমতা দেখিয়েছে। এটা বিরাট মোড় এনে দিল।