জীবনের সবচেয়ে গর্বের মুহুর্ত যখন মেয়েকে টিভির পর্দায় দেখলেন মধ্যপ্রদেশের নীমুচ জেলার একটি চা দোকানের মালিক। সুরেশ গানওয়াল নিমুচের একটি বাসস্ট্যান্ডে চায়ের দোকানের চালাতেন। তাঁর মেয়ে অঞ্চল গানওয়াল। শনিবার ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স অকাডেমি থেকে স্নাতক ফ্লাইং অফিসার অঞ্চল গানওয়াল রাষ্ট্রপতির পদক পেলেন। মেয়েকে টিভিতে দেখে আর যেন পলক ফেলতে পারছিলেন না তিনি। 

জানা গেছে, ডুন্ডিগলে ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স অকাডেমিতে শীর্ষস্থান অধিকার করেছেন তিনি। সমস্ত প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে এয়ার ফোর্স অকাডেমিতে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রেখেছেন অঞ্চল।
চায়ের দোকান চালালেও কিন্তু মেয়ের স্বপ্ন ও শিক্ষার আকাঙ্খা পূরণে নিজের আর্থিক টানাটানির কোনও প্রভাব পড়তে দেননি সুরেশ গানওয়াল।

শনিবার কম্বাইন্ড গ্র্যাজুয়েশন প্যারাডে অঞ্চলকে রাষ্ট্রপতির পদক দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ১২৩ ফ্লাইট ক্যাডেটের ভারতীয় বায়ুসেনায় অফিসার হিসেবে নিযুক্তি হয়। ২০১৩-তে উত্তরাখণ্ডের বন্যায় ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর কাজ দেখেই তিনি বাহিনীতে যোগ দিতে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অঞ্চল।

একটি সরকারি ডিগ্রি কলেজ থেকে কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতক সাব-ইন্সপেক্টর হিসেবে মধ্যপ্রদেশে পুলিশ বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন অঞ্চল। লেবার ইন্সপেক্টর হওয়ার পর তিনি কাজ ছেড়েছিলেন। অঞ্চল বলেছেন, বাহিনীতে যোগদানের আগে আমি সেখানে আট মাস কাজ করেছিলাম। স্নাতক হওয়ার পরই তিনি এএফসিএটি-তে অবতীর্ণ হতে শুরু করেন। ছয়বারের চেষ্টায় তিনি এসএসবি-তে সুযোগ পান।

করোনাভাইরাস অতিমারির কারণে অঞ্চল বাবা-মা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি বলেই সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।