গৌতম সাহা,কোচবিহারঃ

করোনার করাল গ্রাসে পৃথিবী জুড়ে হাহাকার।মাহামারী সৃষ্টিকারী করোনা ভাইরাসের থামার কোনও চিহ্নই নেই।দেশে লকডাউন-৩ শেষে লকডাউন-৪ শুরু হতে চলেছে।এখনও বহু সরকারী বা বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ।ব্যাবসা বাণিজ্য বা নানা কাজকর্ম শিকেয় উঠেছে।তাই সবথেকে ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষজন যারা ছোটখাটো কাজকর্ম বা ব্যাবসা করে দিনগুজরান করেন।টানা প্রায় ২ মাস হতে চলল তাদের আর্থিক অনটনে ভুগতে হচ্ছে।'কি করে পরিবারের জন্য দুটো অন্ন সংস্থান করব'- সেটা ভেবেই দিন কেটে যাচ্ছে।

হঠাৎ আসা বিদেশী জীবাণুর প্রবেশে মানুষও আতঙকগ্রস্থ। সেই ভয়ে অনেকে বাড়ির ভিতরে বসে দিন কাটানো শ্রেয় বলে মনে করছেন।কিন্তু বসে সেই সারা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে  প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠন UUPTWA এর দামাল সদস্য- সদস্যারা।ভয় কে জয় করে জেলায় জেলায় বেড়িয়ে পড়েছেন তারা,আর পৌঁছে যাচ্ছেন সেই সব বিপর্যস্ত অসহায় মানুষের পাশে।নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রবাদি নিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন।"সমাজের স্বার্থে - সকলের পাশে" নীতি কে পাথেয় করে এগিয়ে চলেছেন এই করোনা ফাইটার্সরা।

আজ কোচবিহার পৌরসভা এলাকার 5 নং ওয়ার্ডের রবিদাস পল্লীর করোনা মহামারীর প্রকোপে কর্মহীন ও প্রকৃত দুর্দশাগ্রস্ত 48 টি পরিবারের কাছে কিছু খাদ্য দ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী যেমনঃ ডাল •চিনি •সরিষার তেল •লবণ • সোয়াবিন • হলুদ •মুড়ি•সাবান ইত্যাদি তুলে দেওয়া হলো সংগঠনের পক্ষ থেকে।

এর আগেও এই উস্থিয়ান করোনা যোদ্বা টিমের উদ্যোগে কোচবিহার শহর সংলগ্ন নিউ কোচবিহার, শিবযজ্ঞ রোড, টাকাগাছ, দোলাপাড়া, খারিজা কাকড়ি বাড়ী ইত্যাদি এলাকায় প্রচুর কর্মহীন ও আর্থিক সংকটে থাকা পরিবারের হাতে খাদ্য দ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী তুলে দিয়েছেন। 

মানবতার ডাকে সাড়া দিয়ে আজকের জনকল্যাণমুখী কাজে  যারা তাদের সামর্থ অনুযায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন: বিনোদ বর্নোয়াল,মদন পাঠক,পুনম মোছাড়ি,সুরজিৎ সরকার, জামেলি রাভা,কল্পনা সরকার, টিংকু দত্ত,তাপসী দিদিমণি, সুব্রত দাস,অনিন্দিতা সেন ও গৌরাঙ্গ সাহা।

তাদের এই অমূল্য দানে সকলকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানালেন UUPTWA, Team Cooch Behar।তবে এখানেই শেষ নয়,সকলের সাহায্য ও সহযোগীতায় আগামী দিনেও সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে আর্ত মানুষের পাশে এইভাবে আবার তারা দাঁড়াবেন বলে জানালেন সংগঠনের জেলা সভাপতি অরুন দাস।তিনি প্রতিটি মানুষকেই অনুরোধ করেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে,স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলতে ও বাড়িতে থেকে সুস্থ থাকতে।