করোনা সংক্রমণের জেরে সারা দেশ ব্যাপী লক ডাউনের জেরে অন্যান্য রাজ্যের মতো পশ্চিমবঙ্গেরও বহু শ্রমিক, পর্যটক ও পড়ুয়া ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছে। অন্যান্য রাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক, পর্যটক বা পড়ুয়াদের ফেরানোর কথা আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিছুদিন আগেই কেন্দ্রও এই সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

সোমবারই রাজ্যে ফিরবেন ২৫০০ জন। রবিবার ট্যুইট করে একথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

তিনি জানিয়েছেন, সোমবার কেরল ও আজমের থেকে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিক, পর্যটক ও পড়ুয়াদের নিয়ে দুটি স্পেশাল ট্রেন ছাড়বে বাংলার উদ্দেশ্যে।

এদিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লেখেন, "অন্যান্য রাজ্যে আটকা পড়ে থাকা বাংলার নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার আমাদের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসাবে আজমির ও কেরালার দুটি বিশেষ ট্রেন আগামীকাল পশ্চিমবঙ্গে ছেড়ে দেবে ২৫০০ এরও বেশি অভিবাসী শ্রমিক, তীর্থযাত্রী, শিক্ষার্থী ও রোগী নিয়ে। প্রোটোকল অনুসারে প্রত্যেককে স্ক্রিন করা হবে।"
তবে রাজ্যে ফেরার পর তাঁদের ১৪ দিন পর্যন্ত হোম কোয়রান্টিনে থাকার আর্জি জানিয়েছে প্রশাসন। তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশ আশঙ্কা করছেন, মানবিক কারণে তাঁদের ঘরে ফেরানো হলেও তাঁদের হোম কোয়রান্টিন থাকা আবশ্যক। না-হলে বিপদের আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ, অন্য রাজ্য থেকে এবং দীর্ঘ পথ পেরিয়ে তাঁরা এসেছেন।

গত ২৭ এপ্রিল পড়ুয়াদের ফেরানোর সিদ্ধান্তের কথা জানায় পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আজই সোমবারই রাজ্যে ফিরছেন বহু শ্রমিক, পর্যটক ও পড়ুয়া।

তবে গতকাল অধীর রঞ্জন চৌধুরী জানিয়েছেন- "রেলমন্ত্রী শ্রী পীযুষ গোয়েল আজ একটু আগে আবার ফোন করেছিলেন আমায়, আশ্বাস দিয়েছেন যে পশ্চিমবঙ্গ যত ট্রেন চায় দেওয়া হবে, তার সাথে 85% টিকিটের খরচে ভর্তুকিও দেওয়া হবে পরিযায়ী দের ফেরানোর ক্ষেত্রে, কিন্তু সাথে এও বললেন উনি যে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী দের ফেরাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না।আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি, তিনি পরিযায়ী দের ফেরাতে যথাযথ উদ্যোগী নন।"


entry pass এর জন্য আবেদন করতে ক্লিক করুন-

http://202.61.117.163/Interstatepass/aspx/signupnew.aspx