তৃতীয় দফায় লক ডাউনের মেয়াদ বাড়িয়ে আরোগ্য সেতু অ্যাপকে বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্র সরকার। সরকারি কর্মীদের জন্য যদিও আগেই এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। এ বার বেসরকারি কর্মীদের জন্য তা বাধ্যতামূলক হল। সমস্ত কর্মী এই অ্যাপ ব্যবহার করছেন কি না, তা সংশ্লিষ্ট সংস্থাকেই নিশ্চিত করতে হবে বলে জানানো হয়েছে। 

পাশাপাশি, কোভিড-১৯ কনটেনমেন্ট জোনের মানুষদের মধ্যেও এই অ্যাপ বাধ্যতামূলক করছে সরকার। এই অ্যাপের সাহায্যে মানুষের গতিবিধিতে নজর রাখবে সরকার। কনটেনমেন্ট এলাকায় আরোগ্য সেতু অ্যাপের ১০০ শতাংশ কভারেজ স্থানীয় প্রশাসনকেই নিশ্চিত করতে হবে বলেও জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

এত দিন রাজনৈতিক স্তরে এর ব্যাপক ব্যবহার চোখে পড়লেও, এ বার সরকারি ও বেসরকারি কর্মী এবং কনটেনমেন্ট এলাকার বাসিন্দাদের জন্য তা বাধ্যতামূলক করা হল। 

জিপিএস-এর মাধ্যমে নজরদারি চালানো এই অ্যাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এতে সাধারণ মানুষের গোপনীয় তথ্য হাতছাড়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও নীতি আয়োগের তরফে দাবি করা হয়েছে, জিপিএস-এর মাধ্যমে নতুন হটস্পট খুঁজে বার করতে সুবিধা হবে।

নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কনটেনমেন্ট এলাকায় আরোগ্য সেতু অ্যাপের ১০০ শতাংশ কভারেজ স্থানীয় প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে।