~ এপ্রিল মাসে রেকর্ড ১৫০ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে~
কলকাতা, ৭ মে, ২০২০: অগ্রগণ্য ভোজ্যতেলের ব্র্যান্ড হিসাবে ধারা-র বাজার গোটা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই সবচেয়ে দ্রুততার সঙ্গে বেড়েছে। কারণ, কোভিড সংকটের কারণে এপ্রিল মাসে গোটা দেশে যখন লকডাউন চলছে, তখনও ধারা তার সরবরাহ অব্যাহত রাখতে পেরেছে।
পশ্চিমবঙ্গের উপভোক্তারা কাচি ঘানি সরষের তেল সবথেকে পছন্দ করেন। তার পরই তাঁদের পছন্দ হল রিফাইনড সয়াবিন তেল। পশ্চিমবঙ্গে, ধারা মুখ্যত চার রকমের তেল বিপণন করে—কাচি ঘানি সরষের তেল, রিফাইন্ড সানফ্লাওয়ার তেল, রিফাইন্ড সয়াবিন তেল ও রিফাইন্ড রাইস ব্র্যান তেল।
দেখা গিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে গত বছর এপ্রিলে ধারার কাচি ঘানি সরষের তেল যা বিক্রি হয়েছিল, এ বছর তার থেকে ২১৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। একই ভাবে এপ্রিলে রিফাইন্ড সয়াবিন তেলের বিক্রি বেড়েছে ২৪৫ শতাংশ। মূলত পাঁচ লিটার পর্যন্ত কনজিউমার প্যাকের বিক্রি বাড়ার কারণেই এই বৃদ্ধি হয়েছে।
লকডাউন এবং সে জন্য খুচরো বিক্রিতে বাধা সত্ত্বেও সার্বিক ভাবে গত বছরের সঙ্গে তুলনা করলে পশ্চিমবঙ্গে ধারার বিক্রি বেড়েছে ১৫০ শতাংশ হারে।
পশ্চিমবঙ্গে বাজার এভাবে বাড়ার প্রসঙ্গে ধারা-র বিজনেস হেড শ্রী দীনেশ আগরওয়াল বলেন, “ধারা-র ট্রেড পার্টনারদের কাছে যাতে পর্যাপ্ত স্টক থাকে তা নিশ্চিত করতে আমাদের টিম নিরন্তর কাজ করেছে। লকডাউনে প্রতিদিনই কোনও না কোনও নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছি আমরা, কিন্তু সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিকেই সুযোগে রূপান্তরিত করতে পেরেছি। তা ছাড়া উপভোক্তাদের যাতে সমস্যা না হয় তা সুনিশ্চিত করতে আমাদের ট্রেড পার্টনাররাও যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন। ঘটনা হল, আমরা কোথাও টু হুইলারে করে উপভোক্তাদের হোম ডেলিভারির ব্যবস্থা করেছি, কোথাও অস্থায়ী কিয়স্ক বানিয়ে বিক্রি করা হয়েছে, কোথাও আবার সবজি বিক্রেতার মাধ্যমে প্রোডাক্ট বিক্রি করা হয়েছে, যাতে বিভিন্ন সেলিং পয়েন্টের মাধ্যমে উপভোক্তাদের কাছে সরবরাহ অব্যাহত থাকে।”
পশ্চিমবঙ্গে ২৬ হাজার স্টোরে ধারা-র প্রোডাক্ট খুচরো বিক্রি হয়। কিন্তু লকডাউনের সময়ে ধারার টিম মূলত সেই জায়গাগুলিতে বেশি নজর দিয়েছিল যেখানে উপভোক্তারা বেশি সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের শেষ প্রান্তের মানুষের কাছেও যাতে ধারার বিভিন্ন প্রোডাক্ট পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে সেই কারণে সত্তরটি ট্রাকে ভরে কনসাইনমেন্ট পাঠানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। রাজ্যে সরবরাহ অব্যাহত রাখতে সেই কনসাইনমেন্ট সুদূর রাজস্থানের আলোয়ার থেকে এসেছে।
ধারার মোট ব্যবসার প্রায় ১০ শতাংশ আসে পশ্চিমবঙ্গ থেকে। সদ্য সমাপ্ত আর্থিক বছরে দেশের এই অগ্রগণ্য ভোজ্যতেলের ব্র্যান্ড ১৪ শতাংশ ব্যবসা বাড়িয়েছে। মোট ব্যবসার আয়তন ছিল ১৭০০ কোটি টাকা।
পশ্চিমবঙ্গে সরবরাহ অটুট রাখার ব্যাপারে শ্রী আগরওয়াল আরও বলেন, “খুব সুচিন্তিত পরিকল্পনা করে আমরা এগিয়েছিলাম। যাতে সাপ্লাই চেইনকে নিচুতলায় বাজার পর্যন্ত কর্মক্ষম ও সুনিশ্চিত রাখা যায়। সেই জন্যই আমরা এই সংকট উতরে যেতে পেরেছি। নইলে শুরুতে কাজের লোকের একটা সমস্যা তো ছিলই। কিন্তু আমরা এটা নিশ্চিত করেছিলাম যে আমাদের ডিস্ট্রিবিউটার আর ক্যারিং ও ফরওয়ার্ডিং এজেন্টদের (সিএফএ) কাছে যে কোনও পরিস্থিতিতে যেন পর্যাপ্ত স্টক থাকে।”
তা ছাড়া ৮০-র বেশি সাব স্টকিস্টও সাপ্লাই চেইন মসৃণ রাখতে পুরোদস্তুর সক্রিয় ছিল। কলকাতার সব থেকে বড় পাইকারি বাজার পোস্তাতেও ধারার সমস্ত প্রোডাক্ট রেঞ্জ ভাল ভাবে মজুত রাখা হয়েছিল, যাতে খুচরো বিক্রেতাদের তারা সরবরাহ করতে পারে। তা ছাড়া কোম্পানি তার নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আধুনিক রিটেল চেইনগুলোতেও সরবরাহ অব্যাহত রেখেছিল।
Social Plugin