ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত দুই ২৪ পরগনা। গতকাল প্রধানমন্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর আজ ফের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী। বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শনের পর কাকদ্বীপে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘ত্রাণ নিয়ে যেন কোনও সমস্যা না হয়। অর্থের অপচয় করা যাবে না। করোনার ধাক্কায় এমনিতেই প্রাণ ওষ্ঠাগত। রাস্তার আগেও গুরুত্ব দিতে হবে ভেঙে পড়া বাড়ি পুনর্গঠনে।’

বড় প্রকল্প না করে ছোট ছোট ভাগে ভাগ করে দ্রুত কাজ করার কথা জানান তিনি। আম্ফানের জেরে যাদের বই নষ্ট হয়েছে, তাদের বইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে বলেই আশ্বাস দেন তিনি। স্কুলের পোশাক নষ্ট হয়ে গেলেও ব্যবস্থা করে দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, 'সরকারি পেনশন প্রকল্পের টাকা থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয়। এই প্রকল্পে কোনও অভিযোগ যেন না আসে। আন্তঃজেলা বাস পরিষেবা ইতিমধ্যেই চালু হয়েছে। কোনও বাস যেন বসে না থাকে। বেসরকারি বাস মালিকদেরও বাস চালাতে অনুরোধ। কিন্তু ভাড়া বাড়িয়ে বাস চালানোর অনুমতি দিতে পারব না। 

তিনি বলেন, 'আমরা একসঙ্গে ৪টি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। করোনা, লকডাউন, পরিযায়ী শ্রমিক এবং ঘূর্ণিঝড়। করোনার জন্য এক টাকাও এখনও পাইনি। কেন্দ্রের থেকে কোনও টাকাই আমরা পাচ্ছি না। এই ঘূর্ণিঝড়ে ১ লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে' 

পাশাপাশি তিনি বলেন, 'জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় বিপর্যয়। এই বিপুল ক্ষতির মধ্যে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হচ্ছে। যেখানে পানীয় জলের ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে, সেখানে পাউচের ব্যবস্থা। মানুষ পানীয় জল পাচ্ছে না, এটা যেন শুনতে না হয়। ম্যানগ্রোভ এবং বৃক্ষরোপণের দায়িত্ব বন দফতরকে নিতে হবে। এখন প্রচুর গাছ লাগাতে হবে। মৎস্যজীবীদের সবরকম সাহায্য করতে হবে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের কাজে লাগাতে হবে। কেউ যেন রেশন থেকে বঞ্চিত না হয়। আরও বেশি করে কমিউনিটি কিচেন চালাতে হবে। খাদ্য দফতরকে সঠিক ভাবে রেশন বণ্টন করতে হবে। ’