22 opposition parties call upon Centre to declare Cyclone Amphan as national calamity
শুক্রবার কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর ডাকা বৈঠকে ২২টি বিরোধীদলের ভিডিও কনফারেন্সিং-এর মাধ‍্যমে আম্ফান পরিস্থিতি ও করোনার জেরে লক ডাউন নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলেই জানা গেছে। 

কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেয় তৃণমূল, এনসিপি, ডিএমকে, বামেরা ও অন্য দলগুলি। সনিয়ার পাশাপাশি ছিলেন রাহুল গাঁধী, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ও শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ও ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সোরেন, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও জনতা দল সেক্যুলারের এইচ ডি দেবগৌড়া, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি, ডিএমকে প্রধান স্ট্যালিন, সিপিআইয়ের ডি রাজা, রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির নেতা উপেন্দ্র কুশওয়াহা, আরজেডি-র তেজস্বী যাদব, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ওমর আবদুল্লা, AIUDF সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল-সহ বিজেপি বিরোধী নেতারা।

এদিনের বৈঠকে শুরুতেই সোনিয়া গান্ধী বলেন, মাত্র ৪ ঘণ্টার নোটিসে, ২৪ মার্চ লকডাউন ঘোষণা হয়েছিল, তখন সরকারের সিদ্ধান্তে পরিকল্পনাহীনতার ছাপ থাকলেও, আমরা লকডাউনের সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছিলাম। প্রাথমিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাস দেখে মনে হয়েছিল, তিনি ২১ দিনের মধ্যে করোনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ জয় করে ফেলবেন। পরে তা ভ্রান্ত ধারনায় পরিণত হয়েছে। এখন মনে হচ্ছে, এই ভাইরাস দীর্ঘদিন থাকবে, যতদিন না এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার হচ্ছে। পরপর লকডাউন হচ্ছে। তাতে লাভের লাভ কিছু হচ্ছে না। পাশাপাশি পরীক্ষা ক্ষেত্রে সরকারের সদর্থক ভূমিকা নেই বলেই দাবি করেন তিনি। 

আবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আর্থিক প‍্যাকেজ নিয়েও মন্তব‍্য করেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ৫ দিন ধরে তার ব্যাখ্যা দিলেন, যা গোটা দেশের কাছে নির্মম পরিহাস বলেই মনে হয়েছে। পাশপাশি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়েও সরব হন। ক্ষেতমজুর ,ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ‍্যমে জীবিকা নির্বাহ করা মানুষদের সরাসরি হাতে টাকা দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেন। তিনি আরো বলেন, সব বিরোধী দলেই সরাসরি টাকা পৌঁছে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছে।

এছাড়াও, এদিনের এই বৈঠকে ২২টি বিরোধী দল একজোট হয়ে আম্ফান সাইক্লোনকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণার দাবি তোলেন। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাইক্লোনে ক্ষতিগ্রস্ত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষাকে পর্যাপ্ত সহায়তা দিতে হবে বলেও দাবি তাদের। 

২২টি দলের নেতারা একটি প্রস্তাব গ্রহণ করে বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত ত্রাণ ও পুনর্বাসন। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আমরা, বিরোধী দলগুলি পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িষার জনগণ ও সরকারের প্রতি সমবেদনা, সমর্থন জানাই যাতে তাঁরা উমপুনের ক্ষয়ক্ষতি, আঘাত মোকাবিলা করতে পারেন। করোনাভাইরাসের দাপটের মধ্যেই আম্ফানের মতো প্রাকৃতিক বিপর্যয় মানুষের ওপর দ্বিগুণ আঘাত, তাদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে বলে অভিমত বিরোধীদের। তাই বিরোধী দলগুলির দাবী কেন্দ্র অবিলম্বে একে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করে এর ধাক্কা মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত সহায়তা দিক।