বেনজির পত্রযুদ্ধে জড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যপাল। রাজ্যপালের একাধিক টুইট-এর জবাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গতকাল ৪ পাতার পত্র লেখেন রাজ্যপালকে। তাঁর উত্তরে রাজ্যপাল ৫ পাতার পত্র লিখে উত্তর দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সাথে সাথে রাজ্যপাল টুইট করে জানান আজ বেলা ১১টায় সকলের সামনে সত্যিটা তুলে ধরবেন। এবার রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে ১৪ পাতার একটি পত্র পাঠালেন। 

রাজ্যপাল পত্রে লেখেন, ‘করোনা-মোকাবিলায় ইচ্ছাকৃতভাবে নজর ঘোরাতে চাইছেন। সরকারের ব্যর্থতা ঢাকতে নজর ঘোরানোর কৌশল। আপনার কাজের দ্বারা সংবিধানকে আপনি অসম্মান করছেন। স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এভাবে অবহেলিত হলে বিপর্যয় আসন্ন। যদি করোনা-আক্রান্তদের হাসপাতালে আসার তথ্য চেপে দেওয়া হয়, যদি নামেই কোয়ারেন্টিন পরিষেবা হয়, যদি সৎভাবে পরীক্ষা না করানো হয়, যদি স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা না দেওয়া হয়, যদি তাঁদের দুষ্কৃতীদের হাত থেকে রক্ষা না করা হয়, যদি তাঁদের ভালমানের পিপিই না দেওয়া হয়, এই চূড়ান্ত সঙ্কটে যদি চিকিৎসার উপকরণ কেনায় বেনিয়ম হয়, গণবন্টনের যদি রাজনীতিকরণ হয়, সামগ্রী যদি লুঠ হতে থাকে, তাহলে বিপর্যয় আসন্ন।’

মুখ্যমন্ত্রীর ৫ পাতার চিঠির প্রসঙ্গ তুলে জবাব দিয়ে ধনকড় চিঠিতে বলা হয়েছে, "করোনা ঠেকাতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ রাজ্য সরকার। দৃষ্টি ঘোরাতেই লাগাতার রাজনীতি করা হচ্ছে। সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি চলছে। তথ্য গোপনের চেষ্টা করছেন। আমার ভাষা সম্পর্কে আপনার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে। আপনি বলছেন রাজ্যপাল মনোনীত, রাজ্যপাল মনোনীত নন, রাজ্যপাল নিযুক্ত। সংবিধান মেনেই রাজ্যকে কাজ করতে হয়। আমাকে অন্ধকারে রেখে সমস্ত কাজ চলছে।"