![]() |
file picrure |
করোনা দুর্বিপাকে ভয়ঙ্কর সঙ্কটে রাজ্যের কয়েক লক্ষ গৃহশিক্ষক। লকডাউনের ফলে গৃহশিক্ষকতা বন্ধ।আর তার ফলেই তাদের জীবনের দৈনন্দিন সঙ্কট ও অনিশ্চয়তা বেড়ে গেছে বহুগুণ। উপার্জন নেই, কিন্তু খরচ আছে। একদিকে পরিবারের মানুষগুলোর ভরনপোষন, অন্যদিকে অসুস্থ মানুষগুলোর চিকিৎসা। কারুর ঘরে ক্যান্সার আক্রান্ত রুগী তো কারুর ঘরে আসন্নপ্রসবা অথবা সদ্যপ্রসূতী স্ত্রী। সাথে রয়েছে অশীতিপর বাবা মায়ের দায়িত্ব।
মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হলো লকডাউনের বাজারে পড়ানোর ঘর-ভাড়া গোনা। পড়া বন্ধ কিন্ত ভাড়া দিতেই হচ্ছে।
এই ত্রিমুখী সঙ্কটে দিশেহারা বাংলার সব জেলার লক্ষ লক্ষ গৃহশিক্ষক। তারা না পারছেন ত্রাণের জন্য তদবির করে লাইনে দাঁড়াতে, না পারছেন কোনো সঞ্চয় ভাঙিয়ে খেতে। অনেকের শেষ সম্বলটুকুও নিঃশেষিত।
এমতাবস্থায় তারা একাধিকবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কিছু সাহায্যের জন্য আবেদন জানালেও তাতে কোনো কাজ হয় নি।
গৃহশিক্ষক কল্যান সমিতির রাজ্য সম্পাদক দীপঙ্কর দাস বলেছেন " রাজ্য সরকারের কাছে আমাদের আবেদন যে আমাদের জন্যেও কিছু আর্থিক সহায়তার কথা ভাবা হোক। রাজ্যের কয়েক লক্ষ গৃহশিক্ষক ও তাদের পরিবারবর্গ তারাও এ রাজ্যেরই বাসিন্দা ও ভোটার। সমাজ গঠনে যাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য, তাদের প্রতি এমন বিমাতৃসুলভ আচরন কাঙ্খিত নয়। তিনি এও বলেন যে অনেক অভিভাবক আছেন যারা নিজেরাই আর্থিক সঙ্কটে বিপর্যস্ত। তাই এই অবস্থায় গৃহশিক্ষকদের মাইনে দেওয়াটাও তাদের পক্ষে অসম্ভব। ফলে চরম সঙ্কটে রাজ্যের লক্ষ লক্ষ গৃহশিক্ষক।"
আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করে নিয়মিত আপডেট পান - FACEBOOK
আমাদের ফেসবুক পেজটি লাইক করে নিয়মিত আপডেট পান - FACEBOOK
Social Plugin