করোনা সংক্রমণের জের দেশজুড়ে চলছে লক ডাউন। প্রথমে ২১দিন লক ডাউন চললেও পরে তা বাড়িয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩রা মে পর্যন্ত চলবে লক ডাউন। মাঝে ২০ই এপ্রিল থেকে বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। এদিন প্রধানমন্ত্রী দেশের জনগণের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে বার্তা পাঠিয়েছেন। 

ট্যুইট তিনি লেখেন, “বিশ্ব যখন করোনা কোভিড ১৯ এর সঙ্গে লড়াই করছে, ভারতে উৎসাহী এবং উদ্ধাভবনী যুবকরা সুস্থ এবং সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের পথ দেখাতে পারেন। লিঙ্কডিনে কিছু চিন্তাভাবনা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম, যা যুব ও পেশাদারদের আকৃষ্ট করবে”। 

লিঙ্কডিনে তিনি লেখেন, “শতাব্দীর তৃতীয় দশকের শুরুটা উল্টোপাল্টাভাবে হয়েছে। কোভিড ১৯ এর ফেল অনেক কিছুতে ব্যাঘাত ঘটেছে”। প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “করোনা ভাইরাস উল্লেখযোগ্যভাবে পেশাদার জীবনের সীমানা বদলে দিয়েছে। এই সময়ে, বাড়িই নতুন অফিস। ইন্টারনেট নতুন মিটং রুম। এই সময়ের জন্য, সহকর্মীদের সঙ্গে বিচ্ছেদ ইতিহাস তৈরি করেছে...আমিও এই সমস্ত পরিবর্তন করেছি। বেশিরভাগ বৈঠক, সেটা সহকর্মী মন্ত্রীদের সঙ্গে হোক, আধিকারিক হোক বা আন্তর্জাতিক নেতাদের সঙ্গেই হোক, এখন ভিডিও কনফারেন্সে হচ্ছে”।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “একটা পথ রয়েছে, যার মাধ্যমে মানুষ এই সময়ে কাজ চালিয়ে যেতে পারছেন। আমাদের কিছু প্রতিভাবান চিত্র নির্মাতাদের ভিডিও রয়েছে, সেখানে মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হয়েছে। আমাদের সঙ্গীতশিল্পীরা অনলাইন কনসার্ট করেছেন। অনলাইনে দাবা খেলা হচ্ছে, এর মধ্যে দিয়েই তাঁরা কোভিড ১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অবদান রাখছেন”।

প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “কাজের জায়গা প্রথমে ডিজিটাল হয়েছে। এবং কেন হবে না? সর্বোপরি, প্রযুক্তির সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন এনেছে গরীবদের জীবনে। এটাই প্রযুক্তি, যা আমলাতন্ত্রের শ্রেণীবিন্যাসকে শেষ করে, মধ্যবিত্তদের দালালদের রাজত্ব শেষ করে, এবং কল্যাণকর কাজে গতি আনে”।