মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত করোনা  অতিমারিতে প্রাথমিক থেকে উচ্চপ্রাথমিক স্কুলগুলিতে আজ থেকে 3 কেজি চাল ও 3 কেজি আলু বিতরণের নির্দেশ আসে, কিন্তু প্রথম থেকেই এই বণ্টন নিয়ে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয় শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মধ্যে l চাহিদা অনুসারে চাল আলু এখনো পর্যন্ত অধিকাংশ স্কুলগুলিতে পৌঁছোয়নি বলে অভিযোগ। 

দিনহাটা ২ নং ব্লকে  এই নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিকের স্কুলগুলির শিক্ষকরা এমনি অভিযোগ উঠে আসছে l দিনহাটা ২ নং ব্লকের এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক অভিজিৎ দাস জানান - "সকাল থেকে বসে আছি বিকেল হয়ে গেলেও এখনো আলু স্কুলে এসে পৌঁছায়নি, তাই আমরা আজ চাল আলু অভিভাবকদের দিতে পারলাম না, ওনারা এসে ঘুরে গেলেন l"
অপর আর এক শিক্ষক হরিশ চন্দ্র অধিকারী জানান- "সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৩.৩০ পর্যন্ত অফিসের নির্দেশ মত বিদ্যালয়ে অপেক্ষা করলাম অথচ চাল আলু কিছুই পৌছায়নি। পরে চালের গাড়ির চালককে ফোন করে জানতে পারি চাল আমাদের বিদ্যালয়ে আগামীকাল দেওয়া হবে। আলুর গাড়ির সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারিনি এখনো। এমতাবস্থায় চরম অনিশ্চিয়তার মধ্যে আছি।"

জানাগেছে গতকাল রাত পর্যন্ত আলু না পৌছানোয় দিনহাটা ২ নং ব্লকের স্কুলগুলিতে Whatsapp মারফৎ নির্দেশ আসে সকাল ৮ টার মধ্যে স্কুলে আসতে হবে,সকাল আটটার মধ্যে প্রতিটি স্কুলে আলু পৌঁছে যাবে।  সেই মত শিক্ষকরা স্কুলে আসেন কিন্তু দীর্ঘ সময় হয়ে গেলেও আলু পাওয়া যায়নি অধিকাংশ স্কুলে l কিছু স্কুলে আসলেও চাহিদা অনুসারে আসেনি l অন্য দিকে সময় অনুসারে অভিভাবকরা স্কুলে আসতে শুরু করে, অনেকে এসে ফিরে যান এবং অসন্তোষ প্রকাশ করেন  l  

এই নিয়ে নিন্দা প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল প্রাথমিক  শিক্ষক সমিতির রাজ্য কমিটির সদস্য ও দিনহাটা মহকুমা কনভেনার সুব্রত নাহা l তিনি বলেন যে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রচেষ্টাকে বাঁধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, শিক্ষক সমাজকে বিপদের মুখে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, আমাদের বিদ্যালয়গুলির ছোট ছোট শিশুদের বঞ্চিত করার নোংরা প্রয়াস হচ্ছে, এই নিয়ে বিধায়ক, জেলা সভাপতি ও সরকারের মন্ত্রীর দ্বারস্ত হবেন বলেও তিনি জানিয়েছেন l 

জনৈক অভিভাবক কাঞ্চন বর্মন জানান - স্কুলে এসে শুনি চাল আলু স্কুলে এখনোও আসেনি তাই ফিরে যাচ্ছি  l 

এই নিয়ে দিনহাটা ২ নং ব্লকের বিডিও জয়ন্ত দত্তকে ফোন করা হলে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, লকডাউন এবং রিমোট এরিয়ার কারণে সময়মতন আলু পৌঁছানো যায়নি, দেরিতে হলেও সব স্কুলে আলু পৌঁছে গেছে।