pic credit: financialexpress

ভারতীয় রেল, কোভিড – ১৯ লকডাউন চলাকালীন মহামারীর সংক্রমণ আটকাতে দুঃস্থ মানুষদের দুপুরবেলা কাগজের প্লেটে এবং রাত্রিবেলা প্যাকেটে খাবার বন্টন করেছে। সামাজিক দায়বদ্ধতার বিষয়টি বিবেচনা করে রেল, আইআরসিটিসি-র রান্নাঘর, আরপিএফ-এর সম্পদ এবং এনজিও-র অনুদান ব্যবহার করে দরিদ্র, দুঃস্থ, ভিক্ষুক, শিশু, মালবাহক, পরিযায়ী শ্রমিক, আটকে পড়া মানুষ সহ যাঁরাই রেল স্টেশনে অথবা তার আশে-পাশের জায়গায় এসেছেন, তাঁদেরই খাবার দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। 

PIB সূত্রে জানা গেছে- ২৮ মার্চ থেকে নতুন দিল্লী, ব্যাঙ্গালোর, হুবলি, মুম্বাই সেন্ট্রাল, আমেদাবাদ, ভূষাওয়াল, হাওড়া, পাটনা, গোয়া, রাঁচি, কাটিহার, দীনদয়াল উপাধ্যায় নগর, বালাসোর, বিজয়ওয়াড়া, খুরদা, কাটপাডি, তিরুচিরাপল্লী, ধানবাদ, গুয়াহাটি, সমস্তিপুর, প্রয়াগরাজ, ইটারসি, বিশাখাপত্তনম, চেন্ডালপাটু, পুণে, হাজিপুর, রায়পুর এবং টাটা নগরে আইআরসিটিসির রান্নাঘরগুলি থেকে এপর্যন্ত ১০ লক্ষ ২০ হাজার খাবারের প্যাকেট বন্টন করেছে। এর মধ্যে ৬০ শতাংশের বেশি খাবার আইআরসিটিসি সরবরাহ করেছে। আরপিএফ, তার সম্পদ ব্যবহার করে প্রায় ২ লক্ষ ৩০ হাজার মিল বন্টন করেছে। বিভিন্ন অসরকারী সংগঠন রেলকে, ২ লক্ষ খাবারের প্যাকেট অনুদান হিসাবে দিয়েছে।


আরপিএফ, জিআরপি, বিভিন্ন রেলের বাণিজ্যিক দপ্তর, রাজ্য সরকার এবং অসরকারী সংগঠনগুলির সাহায্যে দুঃস্থ মানুষদের খাবার দেবার সময় স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ব্যবধান বজায় রাখা হচ্ছে। বিভিন্ন রেলের জেনারেল ম্যানেজার এবং ডিআরএম-রা আইআরসিটিসির আধিকারিকদের সঙ্গে একাজে সমন্বয় রেখে চলেছেন। 


এক্ষেত্রে রেল সুরক্ষা বাহিনী খাদ্য বন্টনের কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ২৮ মার্চ ৭৪টি জায়গায় ৫৪১৯ জনকে তাঁরা খাদ্যবন্টন করেন। গতকাল এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬ লক্ষ ৫০ হাজারে। রেল সুরক্ষা বাহিনী, ৩১৩টি জায়গা থেকে এই খাদ্যবন্টন করেছে।


রেল, এবং শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রী শ্রী পীযূষ গোয়েল, এর আগে পরামর্শ দিয়েছিলেন রেলকে, তাদের এলাকা এবং রেলস্টেশনের বাইরে জেলাপ্রশাসন এবং অসরকারী সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করে দুঃস্থ মানুষদের খাবার দিতে হবে। পিএম কেয়ার্স তহবিলে আইআরসিটিসি, ২০ কোটি টাকা জমা দিয়েছে, এরমধ্যে কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতার খাতে যে তহবিল রয়েছে, সেখান থেকে ৮ কোটি টাকা এবং ১২ কোটি টাকা অনুদান হিসাবে দিয়েছে। 

প্রধানমন্ত্রী এক ট্যুইট বার্তায় আইআরসিটিসির আধিকারিকবৃন্দকে করোনা ভাইরাস মোকাবিলার এই যুদ্ধে অংশ নেওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন।