ছবি-প্রতিকি 

শিক্ষিকা হতে হলে এখন থেকে গর্ভাশয় কাজ করছে কি না সে বিষয়ে জানাতে হবে সরকারকে। তা বাধ‍্যতামূলক বলেই উল্লেখ করা হয়েছে। রাজ্যে শিক্ষকতা করতে হলে মহিলা প্রার্থীদের শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সচল আছে কি না সে বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তথ‍্য দিতে হবে সাথে সাথে চাকরিপ্রার্থী বাংলাদেশি না পাকিস্তানি তাও উল্লেখ করতে হবে। 

রাজ‍্য সরকারের এরকম গেজেট বিজ্ঞপ্তি ঘিরে নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষিতমহলে। 

রাজ্য সরকার ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি এন্ড কলেজ ২০১৭’ বিল নামের একটি গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। গেজেটে উল্লেখ করা হয়েছে, মহিলা প্রার্থীর গর্ভাবস্থায় বা জরায়ু কাজ করছে কি না, কারও হার্নিয়া আছে কি না কিংবা বুকের মাপ কত? ইত্যাদি শারীরবৃত্তীয় তথ্য খুঁটিনাটি জানাতে হবে৷ এমনকী, শিক্ষক-শিক্ষিকারা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, নেপাল বা অন্যকোন দেশের বাসিন্দা কিনা তাও জানতে চাওয়া হয়েছে৷ 

এই বিলে বলা হয়েছে, নিয়োগের এক বছরের মধ‍্যে প্রার্থীকে পুলিশ ও মেডিকেল ভেরিফিকেশন করাতে হবে। ফর্ম ৪ পয়েন্টে বলা হয়েছে অন‍্য কোনো দেশের বাসিন্দা হলে সেই ঠিকানা জানাতে হবে। ৫ নম্বর পয়েন্টে জানানো হয়েছে, প্রার্থী গত পাঁচ বছর যেখানে ছিলেন, সেখানকার পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে জানাতে হবে৷ পত্র যাচাই ও স্বাস্থ‍্য পরীক্ষাতে কোনো প্রার্থী ব‍্যর্থ হলে তাঁকে শিক্ষকের মর্যাদা দেওয়া হবে না। 

সরকারের এরূপ গেজেট ঘিরে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়েছে- গেজেট বাতিল করার দাবিও উঠছে। 


২০১৭ -তে এই গেজেট বিধানসভায় আসলেও বিরোধীদের তীব্র বিরোধীতায় এই গেজেট স্থগিত করা হয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ভাষায় পরিবর্তন করার কথাও জানানো হয়েছিল। কিন্তু, বিধানসভা ভোটের পূর্বে আবার সেই বিলকেই সামনে আনা হল।

সংবাদ একলব্য সংবাদটি সম্পাদনা করেনি, সরাসরি নিউজ সেন্ডিকেট থেকে সংগৃহীত।