কেন্দ্রীয় সরকারের হারে রাজ্য কর্মীদের ডিএ দিতে হবে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের সুপারিশ কার্যকর হওয়ার দিন থেকে। মেটাতে হবে বকেয়া ডিএ৷ এই মর্মে নীতি নির্ধারণের জন্য রাজ্যকে নির্দেশ দেওয়া হয়৷ কিন্তু, নীতি নির্ধারণ তো দূর, স্যাটের রায় কার্যকর করা হয়নি বলে অভিযোগ৷

গত ৯ জানুয়ারি রাজ্য সরকারের  এডভোকেট  জেনারেল  পুনর্বিবেচনা করার কারণ উল্লেখ করে জানায়, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতা পাওয়ার বিষয়টি আইনগত কোন অধিকার নেই৷ এছাড়া রাজ্য সরকারের আর্থিক ক্ষমতা নেই সেটা মিটিয়ে দেওয়ার৷ এই সাথে আরও জানায়  প্রশাসনিক ট্রাইবুনাল তাদের রায় দেওয়ার সময় কিছু আইন বিবেচনা করেনি৷ ফলে, রায় পুনর্বিবেচনা করা হোক৷

সরকারি কর্মচারীদের পক্ষে আইনজীবী আমজাদআলি তার তীব্র বিরোধীতা করেন৷  তিনি জানান, রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ভাতা না দিয়ে বিষয়টি নিয়ে শুধুশুধু আইনি জটিলতার মধ্যে ফেলা হচ্ছে৷ দীর্ঘ সময় কাটানোর চেষ্টা করছে রাজ্য৷ কারণ, রাজ্যের তিনটি আপত্তির মধ্যে দু’টি আপত্তি নিয়ে আগেই শুানানি হয়েছে৷ ফলে, একই বিষয় দ্বিতীয়বার তুলে সময় অপচয়ের চেষ্টা চলছে৷

কর্মচারী সংগঠনের আইনজীবী বলেন, ‘‘সরকারের এই পদক্ষেপ রীতিমতো হয়রানিমূলক৷ বেআইনি এবং রিভিউ করার যে আইনগত নীতি আছে সেই নীতি বিরোধী৷’’

আজ বিগত ৯ জানুয়ারি  অ্যাডভোকেট জেনারেল, সরকারের হয়ে রিভিউ পিটিশনের প্রেক্ষিতে যে ৪ টি অর্ডার ট্রাইবুনালে তুলে ধরে সওয়াল-জবাবে অংশগ্রহণ করে ছিলেন, তার মধ্যে দুটো বিগত হাইকোর্ট রিভিউ পিটিশনেই  খারিজ হয়ে যায়। তাই অপর দুটো নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখা মহামান্য বিচারকের সামনে আমজাদ আলি ট্রাইবুনালে তা পরিবেশন করে তার কনক্লুশন টানেন।

মলয় বাবু জানিয়েছেন- "আমরা যে আদালত অবমানার মামলাটি এনেছিলাম তা সকলেই জানেন। আপনারা এটাও জানেন, ট্রাইবুনাল তিনটি পর্যায়ে রায় ঘোষনা করেছিলেন। তা যথাক্রমে:
১] বকেয়া ডিএ দিতেই হবে এবং তা দিতে হবে, ক্যাস, চেক বা পিফ'এর মাধ্যমে। এই তিন অপশনের মধ্যে যেটা সরকার গ্রহন করবে তা তিন মাসের মধ্যে নোটিফিকেশনের মাধ্যমে কর্মীদের জানিয়ে দিতে হবে।
২] সম্পূর্ণ বকেয়া ডিএ ছ'মাসের মধ্যে মিটিয়ে হবে।
৩] তবে তার আগে পে-কমিশন লাগু হলে, লাগু হওয়ার আগেই বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন- "আমাদের অবমাননা মামলাটি ১ নং রায় প্রেক্ষিতে করা হয়েছিল। সেই বার্তাই ট্রাইবুনাল এফিডেফিট সহকারে সে সময় স্যাট জমা দিতে বলেছিলেন এবং তা জমাও দেওয়া হয়েছিল।  কিন্তু আজ অ্যাডভোকেট আমজাদ আলি পরবর্তী যে দুটি উল্লেখিত রায়ে বলা ছিল তা তুলে ধরেন। তিনি আদালতকে স্মরণ করিয়ে দেন, যে সরকার শুধু পে কমিশনই লাগু করেনি। সরকার কর্মীদের থেকে হুইপ জারি করে নয়া বেতন নেওয়ার জন্য কর্মীদের অপশন ফর্ম ফিলাপ করাতে বাধ্য করেছেন পর্যন্ত। এই বার্তা শোনার পর মহামান্য ট্রাইবুনাল তা লিখিত আকারে ( এফিডেফিট সহকারে আদালতের কাছে) জমা দিতে বলেন। এবং আগামী ১৩|০২|২০ পরবর্তী মামলাটি উঠবে বলে ট্রাইবুনাল নির্দেশ দেন।"

কনফেডারেশন অব স্টেট গভঃ এমপ্লয়ীজ (আইএনটিইউসি) এর সাঃ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় আরও জানান- "আগামী ১৩|০২|২০ তে মাননীয় বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য মহাশয়ও এই মামলায় অশংগ্রহণ করবেন।"