গৌতম সাহা,কোলকাতাঃ
বেশ কয়েকবছর ধরেই রাজ্যের প্রাথমিক শিক্ষক থেকে কলেজ এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পর্যন্ত প্রায় প্রতিটি স্তরের শিক্ষকরা বেতন বৈষম্যের স্বীকার হয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন ট্রেনড্ গ্রাজুয়েট শিক্ষকরাও,এমনকি পার্শ্বশিক্ষক, পার্টটাইম শিক্ষক, কম্পুউটার শিক্ষক, এস.এস.কে, এম.এস.কে শিক্ষকরাও এরমধ্যে রয়েছিলেন। প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের বেতন বঞ্চনার অবসানের দাবীতে আন্দোলন করতে দেখা গেছে। তবে সরকারী উদ্যোগে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আবার বেশ কিছু জায়গায় সম্মানজনক বা মোটেই সমাধান হয়নি। তাই নতুন উদ্যোগে তাদের আন্দোলনে শামিল হতে দেখা যাচ্ছে। তবে প্রশাসনের অতিসক্রিয়তায় সেই আন্দোলনকে ভন্ডুল করতেও দেখা গেছে। তাই কিছু কিছু সংগঠনকে হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়ে আন্দোলন করার অধিকার ছিনিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছে।তারপর তারা সুষ্ঠভাবে তাদের প্রতিবাদ আন্দোলন করতে পেরেছেন।





কয়েকমাস আগে রাজ্যের হাজার হাজার পার্শ্বশিক্ষকরা হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিকাশভবন চত্ত্বরে অবস্থান,অনশন কর্মসূচী চালিয়েছেন।অবশেষে প্রশাসনের সঙগে আলোচনায় একটা সমাধান সূত্র তাদের বেরোতে চলেছে। এবার ঠিক একই ভাবে অবস্থান করতে চলেছেন ট্রেনড্ গ্রাজুয়েট শিক্ষক সংগঠন 'বৃহত্তর গ্রাজুয়েট টিচার্স আসোসিয়েশন' সংক্ষেপে BGTA। তাদের সংগঠন অাগামী ১০ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১৬ই ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের অনুমতি সাপেক্ষে বিকাশ ভবনের পাশে অবস্থান করতে চলেছেন।





এদিকে আবার ১১ই ফেব্রুয়ারি পশ্চিম বঙগের সবচেয়ে বড় প্রাথমিক তথা শিক্ষক সংগঠন UUPTWA তাদের বেতন বঞ্চনার দাবীতে শান্তিপূর্ণভাবে বিকাশ ভবনের পার্শ্ববর্তী উন্নয়ন ভবনের পাশে অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচী শুরু করতে চলেছেন।গতসপ্তাহের ৩ ও ৪ই ফেব্রুয়ারী এই একই জায়গায় তাদের ঘোষিত কর্মসূচী ছিল,কিন্তু স্থানীয় প্রশাসনের অনুরোধে এবং আন্তর্জাতিক বইমেলা হওয়ায় তারা তাদের কর্মসূচী থেকে সরে আসেন।




গতকাল সংগঠনের তরফ থেকে নতুন কর্মসূচীর ঘোষণা করা হয়।ঠিক একই জায়গায় গতবছর জুলাই মাসে তারা প্রায় একপক্ষকালীন আমরণ অনশন কর্মসূচী চালিয়েছিলেন।সঠিক যোগ্যতা অনুযায়ী তাদের বেতন PB-4 স্কেল অনুযায়ী হওয়ার কথা থাকলেও সরকারী অাদেশনামা অনুযায়ী PB-3 স্কেলে দেওয়া হয় কিন্তু উপযুক্ত ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর সহযোগে বা সঠিক নোশানাল এফেক্ট দিয়ে নতুন বেতন নির্ধারণ করা হয়নি।

এমনকি নতুন পে-কমিশনেও সেই ভুল সংশোধন হয়নি।ফলে বঞ্চনার সমস্যা একইভাবে থেকে গেছে। তাদের দাবী মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর দেওয়া কথা অনুযায়ী প্রাথমিক শিক্ষক দের সঙগে মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বৈষম্যের অবসান সঠিকভাবে হয়নি, উল্টে আরও বেড়ে গেছে।এমতোবস্থায় আবার পথে তারা নামতে বাধ্য হচ্ছেন।আগামী সপ্তাহের শুরুতেই এই জোড়া শিক্ষক বিক্ষোভ কর্মসূচী কে ঘিরে প্রশাসনের তৎপরতা লক্ষনীয় বিষয় হয়ে যে উঠবে তা বলাই বাহুল্য।সঠিক বিচার কি তারা পাবেন? সেটা আপাতত সময়ের উপরেই ছেড়ে দেওয়া যাক্।