মহাশিবরাত্রি বা শিবরাত্রি হচ্ছে হিন্দু শৈব সম্প্রদায়ের নিকট একটি গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান। এই মহাশিবরাত্রি ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। মহাশিবরাত্রি হল হিন্দুধর্মের সর্বোচ্চ আরাধ্য দেবাদিদেব মহাদেব ‘শিবের মহা রাত্রি’। অন্ধকার আর অজ্ঞতা দূর করার জন্য এই ব্রত পালিত হয়। সব ব্রতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ হল এই মহাশিবরাত্রি।

এবার মহাশিবরাত্রির সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট:

বাংলা তারিখ : ৮ ফাল্গুন, ১৪২৬।

ইংরেজি তারিখ : ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১।

চতুর্দশী তিথি শুরু : বিকেল ৫টা ২০ মিনিট। (২১ ফেব্রুয়ারি)

নিশিকালের পুজো : রাত ১২টা ৯ মিনিট থেকে রাত একটা পর্যন্ত (ইংরেজি তারিখ অনুযায়ী ২২ ফেব্রুয়ারি)।

মহাশিবরাত্রির পুজোর সময় : সকাল ৬টা ৫৪ মিনিট থেকে বিকেল ৩টে ২৫ মিনিট (২২ ফেব্রুয়ারি)।

চতুর্দশী তিথি শেষ : সন্ধ্যা ৭টা ২ মিনিট। (২১ ফেব্রুয়ারি)।

১) শিবরাত্রির ব্যাখ্যা ও গুরুত্ব: হিন্দু মহাপুরাণ তথা শিবমহাপুরাণ অনুসারে এইরাত্রেই শিব সৃষ্টি, স্থিতি ও প্রলয়ের মহা তান্ডব নৃত্য করেছিলেন । আবার এইরাত্রেই শিব ও পার্বতীর বিবাহ হয়েছিল । এর নিগুঢ় অর্থ হল শিব ও শক্তি তথা পুরুষ ও আদিশক্তি বা পরাপ্রকৃতির মিলন। এই মহাশিবরাত্রিতে শিব তার প্রতীক লিঙ্গ তথা শিবলিঙ্গ রূপে প্রকাশিত হয়ে জীবের পাপনাশ ও মুক্তির পথ দিয়েছিলেন।

আমাদের ফেসবুক পেজে জয়েন হতে ক্লিক করুন- CLICK
আমাদের হোয়াটসয়াপ গ্রুপে যুক্ত হতে ক্লিক করুন- CLICK
যে কোন সংবাদ, লেখা পাঠান sangbadekalavya@gmail.com
বিজ্ঞাপন দিতে কথা বলুন- 96092 21222


এর কিছুদিন পরে সেই ব্যাধ মারা গেলে জীব হত্যাকারী হওয়া সত্ত্বেও  শিবচতুর্দশী ব্রত পালন করার ফলে সে মুক্তিলাভ করে। এইভাবে মর্ত্যলোকে শিবচতুর্দশী ব্রতের প্রচার ঘটে।

৩) মহাশিবরাত্রি উপবাসের নিয়ম:

ক) ব্রতের দিন উপবাসী থাকতে হবে। তারপর রাত্রিবেলা চার প্রহরে শিবলিঙ্গকে দুধ, দই, ঘৃত, মধু ও গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করানো হয়। তারপর বেলপাতা, নীলকন্ঠ ফুল, ধুতুরা, আকন্দ, অপরাজিতা প্রভৃতি ফুল দিয়ে পূজা করা হয়। আর  ‘ওঁ নমঃ শিবায়’ এই মহামন্ত্র জপ করা হয় ।

খ) উপবাস থাকার দিনে তেলমাখা, দিবানিদ্রা, সহবাস, কোনও রূপ ভোগবিলাস, পাশা/জুয়া খেলা, নেশাবস্তু গ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

গ) পারণের দিন দু’বার খাওয়া, সহবাস, পরিশ্রমের কাজ, দিবানিদ্রা, পরের অন্ন ভোজন, দূরপথে যাত্রা নিষেধ।

ঘ) বারবার জলপান করলে বা দিবানিদ্রা গেলে “ওঁ নমঃ নারায়ণায়”— এই মন্ত্র ১০৮ বার জপ করতে হয়।

ঙ) সম্পূর্ণ উপবাস না করতে পারলে জল, দুধ, ফল, মূল, ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। গুরু কিংবা ব্রাহ্মণের অনুমতি নিয়ে রাতে বা পূজার শেষে হবিষ্যান্ন খেলে ব্রতভঙ্গ দোষ হয় না।

source:internet